শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১৬ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের মংডু থেকে দুই বছর পর এলো ১৯ মেট্রিক টন চাল

জিয়াবুল হক, টেকনাফ : মিয়ানমারে মংডু শহর থেকে প্রায় দুই বছর পর প্রথম চালানে ১৯ মেট্রিকটন বস্তা আতব চাল ভর্তি একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছেন। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোট টেকনাফ লিমিটেডের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মেসার্স নিউ বড় বাজার শপিংমল ২৩৭ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছিল। এরপর মিয়ানমার থেকে আর কোনো ধরনের চাল আমদানি হয়নি। দীর্ঘ ২ বছর পরে মেসার্স জিন্না অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে একটি ট্রলারে করে চাল ভর্তি ট্রলার স্থলবন্দরে এসেছে।

আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিন্না অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকার শওকত আলী চৌধুরী বলেন, মোহাম্মদ সেলিম নামে একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ১৯ মেট্রিকটন চাল নিয়ে এসেছেন। তবে খাদ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ১০২ জন ব্যবসায়ী অনুমতির বৈধ কাগজপত্র জটিলতা থাকায় এখনই চালগুলো সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
 
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) চলমান যুদ্ধের পর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় মংডু শহর, আকিয়াব ও ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে হিমায়িত মাছ, বিভিন্ন প্রকারের কাঠ, শুঁটকি, সুপারি, নারকেল, আচারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য থেমে থেমে আমদানি হয়ে আসছিল। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মংডু শহর থেকে পণ্য আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর ইয়াঙ্গুন বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে ৬-৮টি করে পণ্যবাহী ট্রলার আসছিল।

অথচ যুদ্ধের আগে প্রতি সপ্তাহে ৮-১৫টি বেশি ট্রলার টেকনাফে স্থল বন্দরে আসতেন। মংডু শহর আরাকান আমি দখলে নেওয়ার পর নাফনদীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনটি ট্রলার মিয়ানমারের ফিরে যেতে না পেরে টেকনাফ স্থলবন্দর ও নাফনদীতে নোঙর করে রয়েছে।

মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চাল কেনা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। পরিবহণ, শ্রমিক ও বন্দর খরচসহ আরও ১০০টাকা খরচ গুনতে হচ্ছে। চালগুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাঠানো কথা রয়েছে।সরকারিভাবে সহযোগিতা পাওয়া গেলে আরও চাল আনা হবে।

স্থল বন্দরের শ্রমিক মাঝি সামছু বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের পর থেকে আমদানি রপ্তানি থমকে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা। সরকার চাইলে সীমান্ত বাণিজ্য ত্বরান্বিত  করতে পারে।
এব্যাপারে টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা বি এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, মংডু শহর থেকে ১৯ মেট্রিকটন চাল নিয়ে একটি ট্রলার স্থল বন্দরের জেটিতে নোঙর করেছে। আইজিএম জমা দিলে পণ্য খালাস পাশাপাশি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়