শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০২ বিকাল
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজশাহীতে বাস শ্রমিক পেটানোর জের শতাধিক সিএনজি ভাংচুর, আহত ১২

ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বাসচালক সহ অন্তত পাঁচজন বাসের শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ এনে সোমবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। সোমবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে নগরীর রেলগেট এলাকায় বাস শ্রমিকেরা প্রায় শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর করেন৷ এ সময় সিএনজির মধ্যে থাকা চালক সহ ১২ জনের হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৯ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

গতকাল সোমবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুর থেকে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক নেতা জানান, তানোর উপজেলায় অন্তত পাঁচজন বাস শ্রমিককে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা বেধড়ক মারধর করেছে। এতে বাসচালক স্বপন আলী, বাবর, শাহীন, নুরুজ্জামান ও কন্ডাক্টর জিয়া আহত হন। মূলতঃ এই ঘটনার জের ধরে রাজশাহী থেকে আন্তঃজেলা রুটের সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

একই ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার দুপুর ১টার দিকে মোটরশ্রমিকরা হঠাৎ মহানগরীর শিরোইলে থাকা ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেট এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ডের দিকে আসতে চাইলে রাজশাহীর মোটরশ্রমিকের কিছু নেতা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উত্তেজিত না হওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর এ আহ্বান উপেক্ষা করে কিছু বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো ভাঙচুরের উদ্দেশে রেলগেটের দিকে আসেন এবং মারধর ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করেন। তবে বাস চলাচল শুরু হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বাস বন্ধই ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। 

রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, তানোরে তাদের পাঁচ-ছয়জন শ্রমিককে মেরে আহত করেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। পুলিশ এখনও মামলা নেয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ওই জের ধরেই আজকের এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমি চেষ্টা করেও তাদের রুখতে ব্যর্থ হই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএনজিচালক জানান, বাস শ্রমিকেরা প্রায় একশোর বেশি সিএনজি ভাংচুর করেছে এবং যাত্রীসহ ১২ জনকে মারধর করে খামযখম করে। গুরুতর আহত হওয়ায় ৯ জনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এদিকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, একটি পুরনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের দাবি তাদের প্রায় ১০০ টিরও বেশি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। তারা এ ঘটনায় পরে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়