হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : অভাবের সংসারে টানাপোড়ন ঘোঁচাতে প্রায় ৭ মাস আগে একটি ব্যাংক থেকে কিস্তির মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা তোলেন সানোয়ার হোসেন (৩৪)। সেই টাকা দিয়ে কিছুদিনের মধ্যে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা কিনে শুরু করেন জীবিকা নির্বাহ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে খুইয়েছেন জীবিকা নির্বাহের যানটিও। ওই চক্রের ফাঁদে পড়ে নিখোঁজও ছিলেন এই যুবক। ভাগ্যক্রমে প্রায় ৩০ ঘন্টা পর কোনোভাবে ফিরে এসেছেন পরিবারের কাছে।
সানোয়ার হোসেন ফরিদপুর শহরের পুর্বখাবাসপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুত্র। স্ত্রী ও একমাত্র শিশু কন্যা সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন শহরতলীর বিলমামুদপুর এলাকায়। গত রোববার দুপুর দুইটার দিকে নিজের অটো রিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপরই নিখোঁজ হোন। এরমধ্যে পরিবার স্বজনরা হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন, কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সানোয়ার হোসেন বলেন, ডায়াবেটিস হাসপাতালের পাশ থেকে আমার গাড়িটি রিজার্ভ ভাড়া করে সদরপুরের কৃষ্ণপুরের ভেতরে নামিয়ে দিতে বলে। তাঁরা ডাক্তার দেখাতে এসেছে বলে জানায়। পরে দুইজন বোরকা পড়া নারী ও তিনজন পুরুষ গাড়িতে উঠে। আমার পাশে একজন ছেলে বসে। যাওয়ার সময় আশপাশের ভিডিও করে তারা এক পর্যায়ে কৃষ্ণপুর বাজারের ব্রিজ পাড় হলে ওই ভিডিও আমাকে দেখতে বলে, কেমন হয়েছে জানতে চায়। আমি তখন দেখতে চাইনি। এভাবে ফাঁকা রাস্তায় নিয়ে জোর করেই আমার মুখের কিনারে এনে ভিডিও দেখায়। এরপরই আমার ঘুরাতে থাকে। তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে একজনকে লাথি দিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম এবং ধস্তাধস্তিও হয়। এরপর আর কিছু মনে নেই।
ওই যুবক আরও বলেন, এরপর আমি রাস্তায় পড়েছিলাম। রাতে স্থানীয় একজন তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরেরদিন একটু সুস্থ হলে দেখি আমি ওই বাড়িতে এবং দেখি আমার গাড়ি, কাছে থাকা তিন হাজার টাকা ও মোবাইল কিছুই নেই। তখন ওই বাড়ির লোকজনকে আমি সব খুলে বলি। এরপর আমাকে কিছু ভাড়ার টাকা দিলে বাড়িতে ফিরে আসি।
আপনার মতামত লিখুন :