শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার ◈ জয়নাল থেকে বনে গেছেন ডা.আরিফ, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা (ভিডিও) ◈ গুমের বিচার ও গুম বিলুপ্ত করা আমাদের টপ প্রায়োরিটি : প্রেস সচিব ◈ ঢাকা মহানগরীতে মহাদুর্ভোগ

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৪ রাত
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে ভরপুর সরবরাহেও সবজির বাজারে অস্বস্তি, চড়া আলু-পেঁয়াজের দর

অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : শীতের সবজিতে ভরপুর চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার। কিন্তু দাম পুরোপুরি নাগালে না আসায় অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। গত দুই সপ্তাহে কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমে আসলেও অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার উপরে। পুরাতন আলুর দাম অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। এদিকে বাজারে দেশি পেঁয়াজ না আসায় আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কমেনি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির কোনো সরবরাহ সংকট চোখে পড়েনি। বরং শীতকালীন সবজির ভরপুর সরবরাহ দেখা গেছে। তবে গত দুই সপ্তাহে সবজির দাম কেজিতে দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমলেও এখনো বেশিরভাগ সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। শিম ১০০-১২০, টমেটো ১৩০-১৫০, ফুলকপি ৮০-১০০, কাঁকরোল ৮০-৯০, ঢেঁড়স ও বেগুন ৭০-৮০, পটল, বরবটি ও শসা ৬০-৮০, বাঁধাকপি ও লাউ ৪০-৫০, মুলা ৫০-৬০, গাজর ১০০-১২০ ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম ২০ টাকা কমে ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ধনিয়া পাতা ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। টানা দু’সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা আলুর দর এ সপ্তাহে আরও বেড়েছে। পুরাতন আলু বিভিন্ন বাজারে ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া শীতকালীন লাল আলু ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজার ও মানভেদে ১০৫-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১১০ ও মিশরের পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে দেশি পেঁয়াজ আসতে আরও এক মাসের বেশি সময় লাগবে। তাই ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি। বাজারভেদে রসুন ২৩০-২৫০ ও ২০০-২৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কাটারিভোগ আতপ ২৫ কেজির বস্তা ২,০৭০, বেতি আতপ ৩২৩০-৩২৮০, হাফসিদ্ধ নাজিরশাইল ২২০০, পাইজাম আতপ ১৭৭০-১৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মসুরের ডাল ১১০-১৩০, মুগ ডাল ১৪০-১৫৫, খেসারি ডাল ১১০, চনার ডাল ১৪৫, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি প্যাকেট আটা ৬২-৬৩ এবং ময়দা ৭৫-৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৩, বোতলের সয়াবিন তেল ১৬৭, খোলা চিনি ১৩০, প্যাকেটের চিনি ১৩৫ এবং খোলা সরিষার তেল ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগের সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৫ টাকা করে বেড়ে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ১৭০-১৮০ এবং হাঁসের ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি গত কয়েকদিন থেকে ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০, কক মুরগি ৩০০-৩৩০, গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ এবং খাসির মাংস ১,১০০-১,১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজারে দেশি মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ১৮০-২২০, রুই ২৫০-৩৮০, কাতলা ২৫০-৪০০, মৃগেল ২০০-২৫০, পাঙ্গাস ২০০-২২০, মাগুর ও শিং ৪৫০-৬৫০ এবং দেশি কই ৪৫০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লইট্যা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। এছাড়া চিংড়ি ৭০০-১২০০, মলা ৩৫০-৪৫০, বাইল্যা ৪০০-৫৫০, রিকশা ৪৫০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪৫০, কোরাল ৭০০-১০০০, টেংরা ৬০০- ৭০০ এবং বোয়াল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়