আইরিন হক, বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত ডিম ২৫ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ শুল্কায়নে আজ থেকে খালাস শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকেরা।
সোমবার দুপুরে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের এ চালান আমদানি কারক হাইড্রোল্যান্ড সলিশন কাস্টমস থেকে খালাস নিয়েছেন। প্রতি পিচ ডিমে আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্ককর দিতে হলেও এখন শুল্ক কমানোয় প্রতি পিচে ৭৬ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানিকৃত নতুন চালানের ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়ার কথা।
এর আগে গত শনিবার ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছিল। তবে কমশুল্কে পণ্যচালানটি ছাড় নিতে ৩ দিন বন্দরে ডিমের ট্রাক দাড় করিয়ে রাখে আমদানিকারক। পণ্য চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করাতে কাজ করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টার ন্যাশনাল।
এদিকে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত বৃহস্পতিবার শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর কাস্টমসে এ নির্দেশ আসে গতকাল রোববার।
এদিকে ডিম আমদানি বাড়লেও বাজারে কোন প্রভাব পড়ছেনা। এখনো প্রতিহালি ডিম ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে অভিযোগ ক্রেতাদের। কম শুল্কে ডিম খালাস নিতে আমদানিকারক বন্দরে ডিমের চালান তিন দিন ফেলে রাখায় ভোক্তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারন হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের স্বত্বাধিকারী প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, নতুন নির্ধারন করা শুল্কে ডিম খালাস নিতে ডিমের চালান বন্দরে তিন দিন রাখা হয়েছিল। সোমবার তারা পণ্য চালান ৫ শতাংস শুল্কে খালাস নিয়েছেন। এখন দাম পূর্বের চেয়ে কুমবে আশা করেন তিনি।।
বেনাপোল বন্দরের সহকারি পরিচালক কাজি রতন জানান, তিন দিন পর বন্দর থেকে আমদানিকারক ডিমের চালান খালাস নিয়েছেন। তাকে সব ধরনরর সহযোগীতা করা হয়েছে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে পৌনে ১০ লাখ ডিম আমদানি হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানই এসব ডিম আমদানি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনো ডিম আমদানি করেনি।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএ তথ্য মতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।দেশে প্রতিদিন সকল প্রকার ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস, আর উৎপাদন আছে পাঁচ কোটি পিস।
আপনার মতামত লিখুন :