শিরোনাম
◈ আমাদের পরামর্শ হয়তো আর দরকার নেই, এজন্য ডাকেনি : মুজিবুল হক চুন্নু ◈ পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার: বৈঠক শেষে গণফোরাম ◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল

প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুঠিয়ায় খেজুর রস রাখার মাটির পাত্র তৈরি ও বিক্রয়ের ধুম

মোঃ আবু হাসাদ, পুঠিয়া প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় খেজুরের রস সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হওয়া মাটির পাত্র নাড়ি বা ভাঁড় নামে গ্রামে পরিচিত। এখন কুমারপাড়ায় মাটির এই নাড়ি বা ভাঁড় তৈরির ও বিক্রয়ের ধুম পড়েছে।

হেমন্তের শিশিরভেজা আর হাল্কা ঠাণ্ডা জানান দিচ্ছে শীত আসছে। খেজুর গাছ থেকে নামবে মিষ্টি রস, গাছিরা খেজুরগাছ প্রস্তুত করেছেন। তাই পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন কুমার পাড়ার চলছে নাড়ি বা ভাঁড় তৈরির ব্যস্ততা। পুঠিয়ার ঝলমলিয়া পালপাড়া,কানাই পাড়া পালপাড়া ছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য মাটির তৈরি পাত্র পাওয়া যায়।

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, তৈরি হচ্ছে খেজুর গাছে পাতার জন্য নাড়ি বা ভাঁড়। মৌসুমের শুরুতে কুমোরপাড়ার নারী-পুরুষরা সবাই এখন আসন্ন শীতের খেজুর রস সংগ্রহের মাটির পাত্র তৈরি করছেন দিনের বেশিরভাগ সময়। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিকে চলছে কাদামাটির তৈরি পাতিল রোদে শুকানো অপরদিকে রাত থেকে চলছে বিশাল চুল্লিতে আগুনের তাপে পোড়ানো। এদিকে দিনে দিনে খেজুর গাছের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে তাই চাহিদা কম হলেও সীমিত লাভে বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতারাও ছুটে যাচ্ছেন তা কিনতে। খেজুরগাছ পরিচর্যা শেষে রস নেওয়ার জন্যে গাছে বাঁধবে মাটির নাড়ি বা ভাঁড়। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে থেকে শুরু করে কুমোরের নিজ বাড়ি থেকেই ক্রয় হচ্ছে মাটির এ সকল পণ্য।

ঝলমলিয়া পালপাড়া গ্রামের অধীর পাল বলেন, ২০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকার ভেদে ৬০ টাকা পর্যন্ত এবার মাটির নাড়ি বা ভাঁড় বিক্রয় হচ্ছে। তবে গত বছরে তুলনায় এ বছরে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে মাটির কলস গুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে।

পুঠিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আমাদের গ্রামটি হওয়ায় প্রতিদিনই আশেপাশের উপজেলা থেকে ক্রেতারা আসছেন এবং তারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ পেশায় আগের মতো লাভ হয় না, বংশের ঐতিহ্য ধরে রেখেছি মাত্র। চাহিদা কম থাকায় দাম অনেক কম, এই ব্যবসা বাড়াতে পারিনি পূর্বের দামেই বিক্রি করছি। তবে এই মৌসুমে শীতের আমেজ আগেভাগেই তাই বেচাকেনা অনেক ভালো হবে বলে আশা করছি।

বাঘা উপজেলার নারানপুর গ্রামের ক্রেতা বিনয় খলিফা বলেন, গুড় তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাটির নাড়ি বা ভাঁড়, ক্রয়ের জন্যে এসেছি। এ বছর ভালো মানের নতুন নাড়ি বা ভাঁড় একটু বড় আকারের গুলো ৩০ থেকে ৬০ টাকা প্রতিটি হিসেবে ক্রয় করছি। খুব একটা দাম বৃদ্ধি পাইনি বলে মনে করেন এই ক্রেতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়