প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, মিছিলটিতে অংশ নেওয়া বেশিরভাগই তরুণ। কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে তারা জামালখান মোড় এলাকায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু এবং ‘শেখ হাসিনার ভয় নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এদের কারও কারও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার জামালখান এলাকায় মধ্যরাতে হঠাৎ বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ২০ থেকে ৩০ জন লোক সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে।
মিছিলের তিনটি ভিডিও শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়, চট্টগ্রামে জয়বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দমিয়ে রাখা যায় না।
এদিকে হঠাৎ আওয়ামী লীগের মিছিলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জানান পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে এ কর্মসূচি পালনের দুঃসাহস দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এরকম সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মিছিলের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে কর্মসূচি ঘোষণা করে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের জন্য শহীদের রক্তরঞ্জিত রাজপথে স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় জামালখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। দলমত নির্বিশেষে সকল ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে পুনরায় নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
ছাত্র-জনতার এক গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। এর একদিন আগে অর্থাৎ ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের রাজপথে সর্বশেষ প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগকে দেখা গেছে। প্রায় আড়াইমাস পর কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল দলটিকে।
আপনার মতামত লিখুন :