শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:০০ রাত
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোদির উপহার দেওয়া যশোরেশ্বরী মন্দিরের কালি ঠাকুরের স্বর্ণের মুকুট চুরি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী মন্দির থেকে দেবী কালীর মাথায় থাকা স্বর্ণের মুকুট চুরির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফরের সময় যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে এসে মুকুটটি উপঢৌকন হিসেবে কালীর মাথায় পরিয়ে দিয়েছিলেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি তদন্ত করছেন। এদিকে মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, আনুমানিক ৩৫ বছরের এক ব্যক্তি বেলা ২টা ৪৯ মিনিটে মন্দিরে প্রবেশ করেন। দেবী কালীর মূর্তির পেছনে দাঁড়িয়ে মুহূর্তে মুকুটটি খুলে টিশার্টের মধ্যে ঢোকান। জিন্স প্যান্ট ও সাদা টিশার্ট পরা ওই যুবক মুকুট খোলার আগে আশপাশে কেউ আছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করেন।

শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চুরির রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন। সেনাবাহিনীর কালীগঞ্জ-শ্যামনগরের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও তদন্ত করছেন।

পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জি বলেন, ‘দুপুর ২টার আগে মন্দিরে তালা লাগিয়ে আমি বাড়িতে আসি। এ সময় সেবায়েত রেখা রানীকে চাবি দিয়ে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে বলি। ৩০-৪০ মিনিট পর দর্শনার্থীদের একজন মায়ের মাথার মুকুট চুরির খবর জানান।’

রেখা রানী বলেন, ‘মন্দিরের মূল ফটকের তালা খুলে জিনিসপত্র পরিষ্কারের জন্য পাশের কক্ষে রাখতে যাই। দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে আরও জিনিস নিতে ফিরে এসে মুকুট চুরির বিষয় বুঝতে পারি।’

এ ঘটনার জন্য পুরোহিতকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। ঈশ্বরীপুরের সোবহান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপন মণ্ডল বলেন, চুরির ঘটনা বেলা ৩টার আগে সবাই জানে। কিন্তু পুরোহিত প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেপে গেছেন। এমনকি শুরুতে তিনি ভিডিও ফুটেজ পর্যন্ত দেখাতে রাজি হননি। ঘটনার পরপরই ফুটেজ দেখার সুযোগ পেলে উপস্থিত দর্শনার্থীদের সহায়তায় হয়তো চোরকে চিহ্নিত করা যেত।

স্থানীয়রা জানান, মন্দিরের সেবায়েত পদ নিয়ে দীর্ঘদিন দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বছরখানেক আগে সাবেক সেবায়েত চারু বালা মণ্ডলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। মাস ছয়েক আগে তাঁকে মন্দির থেকে বের করে রেখা রানীকে আনা হয়। এ ছাড়া মন্দিরের উপার্জিত অর্থকড়ির মালিকানা নিয়েও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, দেবী কালীর একান্ন পীঠের এক পীঠকে কেন্দ্র করে শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে এক কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরীপুর গ্রামে গড়ে ওঠে শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী মন্দির। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এখানে দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থীর পাশাপাশি পুণ্যার্থীরা কালী মায়ের দর্শন ও পূজা দিয়ে আসছেন। উৎস: সমকাল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়