শিরোনাম
◈ এবার সেনাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ◈ বিদেশে অসুস্থ হয়ে পড়া নারী শ্রমিকরা বেশির ভাগই জরায়ুর সমস্যায় ভুগছেন ◈ ১৯০ বন্দীর বিনিময় করলো রাশিয়া-ইউক্রেন আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ◈ সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির শঙ্কা, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যা জানাগেল ◈ নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার ◈ আ’লীগ নেতাদের কুমিল্লা সীমান্তে বৈঠকের গুঞ্জন ◈ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার : সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক ◈ নিজ বাসা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা ৪-৫ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ◈ লালন মেলায় চুরি হওয়া ১৬ মোবাইলসহ যুবক আটক ◈ বেতন গ্রেড না বাড়ালে টিকা নয়, আল্টিমেটাম স্বাস্থ্যকর্মীদের !

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যাংকে টাকা না পেয়ে ক্ষোভে চেক ছিঁড়ে ফেললেন গ্রাহক

শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের শাখায় টাকার সংকটে গ্রাহকের চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকে একটি চেকে ১০ হাজার টাকাও উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহকরা। এতে অনেক গ্রাহক ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যান। গ্রাহকের চাপে এক সময় ব্যাংক ম্যানেজারও পালিয়ে যান। এ সময় সাহিদা নামে এক গ্রাহক প্রথমে একটি ৪০ হাজার এবং পরে একটি ১০ হাজার টাকার চেক দিয়েও টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভে কর্মকর্তাদের সামনে দুটি চেক ছিঁড়ে ফেলে দেন।

টাকা সংকটের বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে বলেছেন, আমরা সমস্যার উন্নয়নে কাজ করছি। ন্যাশনাল ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখার তথ্যমতে, ২০০২ সালে ব্যাংকটির এই শাখার যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে লেনদেন ভালো হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে এই শাখার গ্রাহক সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ব্যাংকটির লেনদেনে ভাটা পড়ে। চাহিদা মোতাবেক টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না গ্রাহকরা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, তারল্য সংকটের কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বুধবার রুবেল নামে এক গ্রাহক টাকা তুলতে এসে টাকা না পেয়ে বলেন, ‘ব্যাংকটির এই শাখায় আমার বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে। চলতি মাসের ১ তারিখে সাংসারিক খরচের জন্য ২৫ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য চেক জমা দিয়ে আজও আমি টাকা পাচ্ছি না। কবে নাগাদ টাকা উত্তোলন করতে পারব তাও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না। 

একই দিন সকালে আমেনা বেগম নামে এক গ্রাহক আসেন । তিনি ২০১২ সাল থেকে ব্যাংকের এই শাখায় লেনদেন করে আসছেন। ৩ দিন আগে ২০ হাজার টাকার চেক লিখে জমা দেন তিনি। তবে বুধবার পর্যন্ত টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, তাঁর স্বামী কষ্ট করে প্রবাস থেকে এই টাকা পাঠিয়েছেন সংসার খরচের জন্য। কিন্তু ন্যাশনাল ব্যাংকের চৌদ্দগ্রাম শাখা তাঁকে কোনো টাকাই দিতে পারছে না। 

রুবেল, সাহেদা ও আমেনা খাতুনের মতো শত শত গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে ভিড় করে যাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেন-দরবার করে যাচ্ছেন। তারা কোনো টাকাই দিতে পারছেন না। 

গ্রাহকের অভিযোগ– অন্যান্য শাখার ন্যায় এ শাখাও খেলাপি ঋণের দায়ে জর্জরিত। এখন ব্যাংকে টাকা নেই। গ্রাহকের টাকা গেল কার পকেটে? চাপে পড়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. রায়হান তাঁর কক্ষ ছেড়ে ব্যাংকের ওপরের একটি ঘরে গোপনে বসে আছেন। কিন্তু গ্রাহকের কী হবে? 

বুধবার(৯ অক্টোবর) বিকেলে গ্রাহকরা চলে যাওয়ার পর ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক মো. রায়হান সাংবাদিকদের জানান, সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে সারা বাংলাদেশে ন্যাশনাল ব্যাংকের সব শাখায় নগদ টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। একযোগে সব গ্রাহক টাকা উত্তোলনের জন্য চেক জমা দেওয়ায় ব্যাংকের প্রধান শাখার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। কারও টাকা না পাওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়