শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা : কুমিল্লা সদর আসনে সাবেক এমপি ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহার ও তার কন্যা অপসারিত কুসিক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনাসহ ৪০-৫০ জন ভিআইপি আ’লীগ নেতা এবং মধ্যম সারির অনেক আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে অর্থের বিনিময়ে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হুন্ডি সুমনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাতে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শংকুচাইল বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুমন উপজেলার দক্ষিণ তেতাভুমি গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ করিম খান।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সুমন মিয়া। তিনি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় হুন্ডি ব্যবসা, মাদক চোরাচালান এবং মানব পাচার সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ৮/১০টি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সুমনের মানব পাচার বাণিজ্য রমরমা হয়ে উঠে এবং কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের সীমান্ত পার করে দেওয়ার কাজে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন।
কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন তার কন্যা অপসারিত কুসিক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ ৪০-৫০ জন ভিআইপি নেতা এবং মধ্যম সারির অনেক আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে পালানোর সুযোগ করে দেন এই হুন্ডি সুমন। এ সুযোগে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এর আগে দীর্ঘ বছর যাবত চোরাচালান মাদক এবং মানি লন্ডারিং করে আসছে শীর্ষ গডফাদার সুমন। তার বিরুদ্ধে জেলার কোতয়ালি মডেল থানা এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক এবং মানব পাচার মামলা রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ করিম খান বলেন, গ্রেফতারকৃত সুমন একজন শীর্ষ মানব পাচারকারী এবং অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ী। তিনি সাবেক এমপি বাহার, সাবেক মেয়র সুচনাসহ অনেক অপরাধীকে ভারতে পালাতে সহায়তা করেছে। তার বিরুদ্ধে ৮-১০টি মামলা হয়েছে। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :