শিরোনাম
◈ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল (ভিডিও) ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি অসত্য বলেননি: মানবজমিন সম্পাদক ◈ দিল্লি থেকে মীরাটের সেনানিবাসে শেখ হাসিনা? ◈ লেবানন থেকে প্রথম ধাপে দেশে ফিরলেন ৫৪ বাংলাদেশি ◈ পাস করানোর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা ◈ ১ থেকে ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে চড়বেন না! ফের হুমকি খলিস্তানি নেতা পন্নুনের ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত বিষয়, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডাচ  সরকারের কারিগরি সহায়তার প্রতিশ্রুতি  ◈ অজ্ঞাতস্থান থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারির বিবৃতি, যা বললেন ◈ মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তনের হাওয়া: সৌদিকে পর্যবেক্ষক রেখে ইরান-রাশিয়া-ওমান যৌথ নৌ-মহড়া

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:১১ সকাল
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নরসিংদীর সুগন্ধিযুক্ত সাগর কলা রফতানী হচ্ছে বিদেশ

মাহবুব সৈয়দ,পলাশ(নরসিংদী)প্রতিনিধি:- নরসিংদীর পলাশ উপজেলার সাগর কলার সুনাম রয়েছে যুগ যুগ ধরে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে। সুগন্ধি যুক্ত এই সুস্বাদু সাগর কলা সবার কাছে সমাদৃত। এখানকার সাগর কলায় আজও বিদ্যমান রয়েছে সেই অমৃতের স্বাদ। যা একবার খেলে মনে থাকে বহুদিন। এক কথায় বাংলাদেশের মধ্যে সুস্বাদু কলার জন্য বিখ্যাত নরসিংদীর পলাশ উপজেলা। সাগর, চাম্পা বা চাপা, হোমাই, গেরাসুন্দর ও শবরী কলা সহ প্রায় ১০ প্রকার কলার চাষ করা হয় এই এলাকাটিতে। 

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কলার চাষ করা হয় উপজেলার চরসিন্দুুর ও জিনারদী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। হারিদোয়া নদের দুই তীর দো'য়াশ বেলে মাটিতে পাঁচশত হেক্টর মজিতে এই কলার আবাদ হয়। উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সাগর কলাই দখল করে রেখেছে প্রথম স্থান।

উপজেলার সবচেয়ে বড় কলার পাইকারী হাট হচ্ছে চরসিন্দুর, তালতলি ও চনরগর্দী। কৃষকরা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি কলার ছড়া বিক্রি করেন এসব বাজারে। 

এখান থেকে কলা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় পাইকাররা। এই কলার একটি অংশ রাজধানী ঢাকা হয়ে মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের প্রায় ১৬ টি দেশে রপ্তানি করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত ফল বা ফসলের মধ্যে, গম, ধান ও ভূট্টার পরে কলার স্থান। অর্থাৎ চতুর্থ নাম্বারে। দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজারে দিন দিন কলার চাহিদা বেড়েই চলছে।

এ ব্যাপারে ৬০ বছর যাবৎ কলা ব্যাবসার সাথে জড়িত পলাশ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মানিক হোসেন জানান, আমার পূর্ব পুরুষরাও কলা বিক্রির সাথে জড়িত ছিলো। আমরা পাইকারি বাজার থেকে কলা ক্রয় করে তা পাকানোর পরে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে বিক্রি করি। সুগন্ধি যুক্ত সাগর কলা অমৃতের স্বাদ কেন জানতে চাইলে ৭৫ বছর বয়সী মানিক হোসেন জানান, তুষের আগুনের তাপদিয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কলা পাকাই বলে এতো সুস্বাদু। রাবান গ্রামের অসিত দাস জানান, ২০ বছর যাবৎ সাগর কলার আবাদ করি, আমার পূর্ব পুরুষরাও কলার আবাদ করতো। কলার আবাদী জমিতে আমরা সবচেয়ে বেশি জৈবসার ব্যাবহার করে থাকি।এখানকার মাটি এটেল এবং দোআঁশ, যার কারণে কলার ফলন খুব ভালো হয়। 

সবুজ মিয়া জানান, বিঘায় ৪শ কলার চারা রোপণ করতে পারি। বিঘা প্রতি খরচ হয়, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, বিক্রি করতে পারি ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কলার কাধি বের হওয়ার সাথে সাথে দাগমুক্ত রাখতে  বাসুডিন বা ডিডি পাউডার পানির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দেই। এতে করে কলার ছড়ায়  চমক আশে এবং বিক্রিও করা যায় বেশি দামে। 

পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, উপজেলায় কলা উৎপাদন নিয়ে আমরা খুবি আশাবাদি। পলাশের মাটি দো'আশ থাকায় এই মাটিতে কলা চাষের জন্য অতি উত্তম। আমরা কলা উৎপাদনে নজর রাখছি। কলা চাষীদের সার ও প্রয়জনীয় কিটনাশক সরবারহ করছি।বিশেষ করে পলাশের সুগন্ধী সাগরকলা দেশ ও বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়