শিরোনাম
◈ মধ্যরাতে গ্রেফতার ব্যারিস্টার সুমন (ভিডিও) ◈ অক্টোবরেও ঊর্ধ্বমুখী  রেমিট্যান্সের গতি ◈ বাতিল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প  ◈ বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে ◈ ‘আমি কোন দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নিই’: (ভিডিও) ◈ ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা প্রশ্নে যা বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল (ভিডিও) ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি অসত্য বলেননি: মানবজমিন সম্পাদক (ভিডিও) ◈ দিল্লি থেকে মীরাটের সেনানিবাসে শেখ হাসিনা?

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:৫১ বিকাল
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মনপুরায় বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝুঁকিতে অর্ধলাখ মানুষ 

ফরহাদ হোসেন, ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা জেলার বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা। মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে  বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। মেঘনায় সামান্য জোয়ার হলেই প্লাবিত হচ্ছে চরগুলো। জলোচ্ছ্বাস বা ঘূর্ণিঝড় হলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়া মনপুরা দ্বীপ রক্ষায় চারদিকে ৭৭.৫৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ কাগজপত্রে থাকলেও মেঘনা নদীর প্রবল গ্রাসে এখন অর্ধেকেরও বেশি বিলীন হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সামান্য জোয়ারেও নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষ জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, মনপুরার উত্তরে বিচ্ছিন্ন কলাতলির চরে বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। মেঘনার জোয়ার সামান্য বৃদ্ধি পেলেই পুরো চর প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। এ ছাড়াও কাজীরচর, ঢালচরে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। এই দুই চরে বসবাস করছেন অন্তত আরো ১০ হাজার মানুষ।

এদিকে, পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন শহিদ সামছুদ্দিন চর, চর নজরুল, পূর্বে বদনার চর, লালচরে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। তাছাড়া দক্ষিণে সাগর মোহনায় চর নিজামে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। এসব চরে বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অরক্ষিত অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। সামান্য জোয়ারেই পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন এসব বাসিন্দারা।
উপজেলার কলাতলি চরের একাধিক বাসিন্দা জানান, এ চরটি নবগঠিত ইউনিয়ন পরিষদে রূপান্তরিত হলেও এখন পর্যন্ত উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। চারদিকে কোনোপ্রকার বেড়িবাঁধ না থাকায় চরটি সামান্য জোয়ার হলেই ডুবে যায়। ফলে বাসিন্দারা বেশিভাগ সময়ই পানিবন্দি থাকেন।

বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত চর নিজাম দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, চরটি সাগরের মোহনায় হওয়ায় কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়াও মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন শহিদ সামছুদ্দিন চর, চর নজরুল ও বদনারচরে কোনো বেড়িবাঁধ ও সাইক্লোন সেন্টার না থাকায় কয়েক হাজার মানুষও ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেন। এসব চরাঞ্চলে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি তোলেন তারা।

মনপুরা উপজেলার দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, মনপুরার মূল ভূখণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বেরিবাঁধগুলো সংস্কারে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো সংস্কার হলেই বিচ্ছিন্ন চড়ে সঠিক সমীক্ষার মাধ্যমে বেরিবাঁধের পরিকল্পনা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়