শিরোনাম
◈ প্রবাসী সরকার গঠন নিয়ে রাজনীতিতে নতুন আলোচনা ◈ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সমন্বয়ক হাসনাত ◈ জীবন দিতে প্রস্তুত আছি, ফ্যাসিস্টদের উত্থান সহ্য করা হবে না: বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সারজিস ◈ ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি ◈ আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ এখনো ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, ইনিংস পরাজয় এড়াতে লড়ছে শান্তরা ◈ কোটি টাকার স্পন্সর পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ◈ এ সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম (ভিডিও) ◈ সুখবর: প্রাথমিকে ৯৫৭২ সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি, আছে শর্ত ◈ পদত্যাগ করা সমন্বয়কদের নতুন সংগঠনের নাম ঘোষণা, বললেন আবারও রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত

প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:০৬ দুপুর
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুবলীগের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিও 

মো: সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সদর উপজেলায় ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতাকে স্থানীয়রা পিটিয়ে আহত করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালে আছেন আরও তিনজন।

শনিবার বিকালে উপজেলার পূর্ব চর মটুয়া গ্রাম থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।

পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক।

নিহত মো. আবদুস শহিদ (৪৩) ওই গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে। গণপিটুনিতে আহত অন্যরা হলেন- মো. জামাল হোসেন (৪৩), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (২৮)।

শহিদ পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম।

এদিকে শহিদকে পিটুনির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায় হাত বাধা শহিদ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। এ অবস্থায় তাকে পিটুনি দিচ্ছে যুবকসহ কয়েকজন। এ সময় তারা সহিদকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এবং কেউ কেউ মাথায়, মুখে ও বুকে লাথিও দেয়।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কিছু লোক ওই গ্রামের ইসমাইল মুহুরী বাড়ি ঘেরাও করে। সেখানে শহিদসহ চারজনকে আটক করে একটি শটগান উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের গণপিটুনি দিলে চারজনই গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১৬ রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাপ্টেন ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার এবং একটি শটগান জব্দ করা হয়।

ওসি আরও বলেন, উদ্ধারের পর তাদের ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে যৌথ বাহিনী । সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে শহিদ মারা যান। অন্য তিনজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শহিদকে ‘থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ আটটি মামলা আছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়