শিরোনাম
◈ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন ও তথ্য উপদেষ্টার বৈঠক ◈ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো যাদের জন্য  ◈ বঙ্গভবনের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, পুলিশের গুলিতে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ ৩ আহত (ভডিও) ◈ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা ◈ তিন দিনের মাথায় ফের সোনার দামে নতুন ইতিহাস ◈ পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিল জগন্নাথ শিক্ষার্থীরা ◈ জামিন পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ◈ বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি : প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা যেতে পারবেন, তবে থাকছে নানান বিধি নিষেধ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:০৮ বিকাল
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুদিন ধরে টানা বর্ষণে বাড়ছে তিস্তার পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা হয়েছে 

তীব্র তাপপ্রবাহের পর গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি ঝরছে রংপুর অঞ্চলে। বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত চলমান আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু রংপুরেই ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। অব্যাহত এই বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ব্যারেজের ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।

হালকা থেকে মাঝারি, আবার কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণে দুই দিন ধরেই তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে দুপুর ১২টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ও শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দু-দিন পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আছে। এর ফলে আগামী দুই দিন পর্যন্ত নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্ক-সীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
 এদিকে প্রতিদিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।

এদিকে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর বিভাগসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুরের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়