শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসের মেডিকেল টিম নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ ◈ হাসিনার পদত্যাগ: সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল রেফারেন্সে যা ছিলো ◈ সৌদি আরব বৈদ্যুতিক জেট পরিষেবা চালু করছে হজ যাত্রীদের জন্য  ◈ সমন্বয়কদের আশ্বাসে বঙ্গভবন এলাকা ছাড়ছেন আন্দোলনকারীরা, নিরাপত্তা জোরদার ◈ ‘ডেঞ্জার অ্যালার্ট’, ঘূর্ণিঝড় ডানা ধেয়ে আসছে! ◈ বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের ওপর চড়াও হল বিক্ষোভকারীরা, অস্ত্র ফেলে চলে যায় পুলিশ (ভিডিও) ◈ ভারতে একদিনে ৫৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার ◈ মালয়েশিয়ায় ন্যানো স্যাটেলাইট আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশি গবেষক তারিকুল ◈ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন ও তথ্য উপদেষ্টার বৈঠক ◈ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো যাদের জন্য 

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে নিখোঁজের ২৩ দিনেও খোঁজ নেই মা-মেয়ের!

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজের ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মিলছেনা মা ও মেয়ের। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে নিখোঁজ গৃহবধূর আত্মীয়দের কাছ থেকে। নিখোঁজ ওই গৃহবধূ উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামের শাহাদাৎ মোল্লার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ও তার ২ বছরের ফুটফুটে কন্যা সন্তান তানহা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,  ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামের শাহাদাৎ মোল্লার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার কোদালীয়া শহীদ নগর ইউনিয়নের পাইককান্দি এলাকার মিজানুর রহমান মোল্লার ছেলে তাহমিদ মোল্লার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর গত ২৫শে জুলাই ইয়াসমিনকে তার শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে। এরপর ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ইয়াসমিনের মা পারভীন আক্তার গত ২৬ শে জুলাই নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে মামলা করে। এরপর থেকে ইয়াসমিন ও তার কন্যা বাবার বাড়ি গুনপালদীতে অবস্থান করছিলেন। কিন্ত গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে তানহাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তেরা। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে ইয়াসমিন ও তার ২ বছরের ফুটফুটে কন্যা সন্তান তানহা।

এরপর ইয়াসমিনের মা পারভীন আক্তার ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্ত ২৩ দিন হয়ে গেলেও কোন খোঁজ নেই ইয়াসমিনের ও তার ২ বছরের ফুটফুটে কন্যা সন্তান তানহার।


এই বিষয়ে পারভীন আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো ওর শশুর বাড়ির লোকজন। আমার মেয়েকে অনেক নির্যাতন করায় আমরা নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করি। সে মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমার মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে ও নাতীকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতে পারে বলে সন্দেহ হয়। আমি আমার মেয়ে ও নাতির সন্ধান চাই। 

এই বিষয় ইয়াসমিনের শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির মোল্লা জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছি। এখনও ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়েকে খুঁজে পাইনি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়