বৃহস্পতিবার ভারতে ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও মৎস কর্মকর্তারা।
দেশের ৪৯ টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। ১৩ অক্টোম্বর আগেই ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি ১০ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১১৮০ টাকা মুল্য রফতানি হচ্ছে।
কাস্টমস সুত্রে জানায়, ইলিশের বাংলাদেশি রফতানি কারক সাজ্জাদ এন্টার প্রাইজ এবং আমদানি কারক ভারতের আর জে এন্টার ন্যাশরাল। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েছে বাংলাদেশ লজিষ্টিক।
জানা যায়, কলকাতার ভারতীয় মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। পরে বিশেষ বিবেচনায় সরকার ভারতে ৩ হাজার টন রফতানির অনুমতি দেয়। এতে বুধবার থেকে রফতানি শুরু হয়।
সাধারন ব্যবসায়ী বলছেন ইলিশ রফতানি দুই দেশের মধ্যে সু সুসম্পর্ক্য বাড়াতে বড় ভুমিকা রাখবে।
বেনাপোল বন্দরের মৎস কর্মকর্তা আসওয়াদুল ইসলাম জানান, মৎস রফতানির ক্ষেত্রে যে সকল কাগজ পত্র দরকার তার সবগুলো দেখাতে পারেনি রফতানিকারক। বিশেষ করে মৎস অধিদপ্তরের অনুমতি পত্র এখনো হাতে পায়নি। বর্তমানে ইলিশের ট্রাক বন্দরে দাড়িয়ে আছে। কাগজ পত্র আসলেই তবে রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে।
বন্দর সংশিষ্টরা জানান, ২০১২ সালে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়েছিল। পরে আবার শুরু হয় রফতানি। তবে বিবেশ বিবেচনায় কেবল দুর্হা পুজাতে সুযোগ রয়েছে রফতানির।গেল বছর রফতানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ মেট্রিন টনের। এবছর অনুমতি হয় ৩ হাজার টনের।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির জানান, কাগজ পত্রের কাজ শেষে পণ্যবাহী ইলিশের ট্রাক যাতে দ্রুত ভারতে ঢুকতে পারে সহযোগীতা করা হবে।