শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসের মেডিকেল টিম নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ ◈ হাসিনার পদত্যাগ: সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল রেফারেন্সে যা ছিলো ◈ সৌদি আরব বৈদ্যুতিক জেট পরিষেবা চালু করছে হজ যাত্রীদের জন্য  ◈ সমন্বয়কদের আশ্বাসে বঙ্গভবন এলাকা ছাড়ছেন আন্দোলনকারীরা, নিরাপত্তা জোরদার ◈ ‘ডেঞ্জার অ্যালার্ট’, ঘূর্ণিঝড় ডানা ধেয়ে আসছে! ◈ বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের ওপর চড়াও হল বিক্ষোভকারীরা, অস্ত্র ফেলে চলে যায় পুলিশ (ভিডিও) ◈ ভারতে একদিনে ৫৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার ◈ মালয়েশিয়ায় ন্যানো স্যাটেলাইট আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশি গবেষক তারিকুল ◈ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন ও তথ্য উপদেষ্টার বৈঠক ◈ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো যাদের জন্য 

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:১০ রাত
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের ওটি বয় যখন চিকিৎসক

মিজান  চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি বয় মো. আলমগীর হোসেন। ২০১১ সালে ওই হাসপাতালে যোগদান করলেও তদবির করে প্রেষণে চলে আসেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে। বিগত ১৪ বছর ধরে তিনি এই হাসপাতালে চাকরি করার পাশাপাশি নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজ এলাকায় চেম্বার খুলে বসেছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ তার প্রতারণা বুঝতে না পেরে প্রতিদিনই এসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. আলমগীর হোসেন এক সময় প্রবাসে ছিলেন। এরপর দেশে এসে জেলার এক আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় হাসপাতালে চাকরি নেন। চাকরির পাশাপাশি তিনি পল্লী চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে ডাঃ পরিচয় দেয়া শুরু করেন। জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজারে চেম্বার দিয়ে বসেছেন। বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে রোগী দেখেন। একই সাথে সুন্নাতে খৎনার কাজও করেন।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, আলমগীর হোসেনের পিতা লোকমান একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য (সাবেক বিডিআর)। দুই ভাইয়ের মধ্যে আলমগীর বড়। ছোট ভাই হিরন কিছুদিন আগে মালেয়শিয়া গেছেন। তাদের পারিবারিক অবস্থা তেমন ভালো না থাকলেও ডাঃ পরিচয়ে চেম্বার দিয়ে বেশ টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন।


রামপুর বাজারের একজন ওষুধ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি নিজে এই বাজারে গত ৩০ বছর ব্যবসা করলেও অবস্থা আগের মতই। কিন্তু আলমগীর হোসেন সরকারি হাসপাতালের ডাঃ পরিচয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেযান। সাধারণ মানুষ বুঝে না বুঝেও তার চিকিৎসা নিতে আসেন। আর সরকারি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও তার এই ভুয়া ডাক্তার পরিচয় বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

চিকিৎসক না হয়ে কিভাবে পরিচয় দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ভুয়া চিকিৎসক পরিচয়ধারী আলমগীর হোসেন বলেন, এলাকার লোকজনই আমাকে ডাঃ বলে ডাকে। সে জন্য ডাঃ লিখি। চিকিৎসক পরিচয় দেয়া আমার ঠিক  হয়নি। এটি লেখাও ভুল হয়েছে। তবে এখন থেকে আর এই পরিচয় দিব না।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এ.কে.এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার হাসপাতা এরিয়ার মধ্যে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রাখি। এমতাবস্থায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার এলাকায় কি পরিচয় দেন কিংবা কি করেন সে বিষয়ে আমি অবগত নই।

ওটি বয় আলমগীর হোসেনের ডাঃ পরিচয় দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৯ এর উপধারা ১ ও ২ অনুযায়ি নিবন্ধিত ব্যাক্তি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না এবং উল্লেখিত ধারায় কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই ধরণের ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দেয়ার মানে হচ্ছে ওই ব্যাক্তি দেশের আইন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়