শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসের মেডিকেল টিম নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ ◈ হাসিনার পদত্যাগ: সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল রেফারেন্সে যা ছিলো ◈ সৌদি আরব বৈদ্যুতিক জেট পরিষেবা চালু করছে হজ যাত্রীদের জন্য  ◈ সমন্বয়কদের আশ্বাসে বঙ্গভবন এলাকা ছাড়ছেন আন্দোলনকারীরা, নিরাপত্তা জোরদার ◈ ‘ডেঞ্জার অ্যালার্ট’, ঘূর্ণিঝড় ডানা ধেয়ে আসছে! ◈ বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের ওপর চড়াও হল বিক্ষোভকারীরা, অস্ত্র ফেলে চলে যায় পুলিশ (ভিডিও) ◈ ভারতে একদিনে ৫৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার ◈ মালয়েশিয়ায় ন্যানো স্যাটেলাইট আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশি গবেষক তারিকুল ◈ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন ও তথ্য উপদেষ্টার বৈঠক ◈ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো যাদের জন্য 

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:২৪ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাজীগঞ্জে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝে শিশু নিহত

মিজান লিটন,  চাঁদপুর প্রতিনিধি ॥  চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সাইমন নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে।  ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ১৬ বছর বয়সী সায়মন এশার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এই সংঘর্ষের মাঝে পরে। 

সাইমনের বর্তমান বাবা ইউনুছ বলেন, সাইমুন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে আসে। আমিও  সেখানে এশার নামাজ আদায় করতে যাই। ৪ রাকাত নামাজ শেষে একজন পরিচিত ব্যাক্তি ফোন দিয়ে জানালো সংঘর্ষে সাইমন আহত হয়েছে। তখন দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝে অনেক কষ্ট করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। হত্যার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, তখন বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলছিলো। নামাজ শেষে বাসায় আসার জন্য সাইমন বড় মসজিদের গেটের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়। অনেক্ষণ অপেক্ষার পর বাসায় রওয়ানা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে পেছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পিঠে কোপ দেয়। আঘাতে তার তলপেটে ছিদ্র হয়ে যায় দেয়। তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। ওই অবস্থায় লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায়।

সায়মনের মা বিউটি আক্তার বলেন, স্বপ্ন ছিলো ছেলে কোরআনের হাফেজ হবে। যে কারণে গত দুই বছর আগে এলাকার সাউদুল কুরআন হিফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করাই। সেখানে হিফজ বিভাগে পড়াশুনা করত সাইমন। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। 

এদিকে সাইমন হত্যার ঘটনায় জনৈক সাইফুল ইসলাম নামে মামা পরিচয়ের ব্যাক্তি হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, মামলায় ৩০০ থেকে ৪০০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

সাইমন হত্যার বিষয়ে মা-বাবা কেউই কোন ধরণের মামলা করেননি নিশ্চিত করে তার মা বিউটি আক্তার দাবী করেন তার কোন ভাই নেই। বাবা ইউনুছ এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা ওসিকে জানিয়েছি এই ঘটনায় আমরা কোন মামলা করবো না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়