সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা : কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার রাতে উপজেলার ভূলইন উত্তর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না করার জন্য ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। 

লালমাই থানায় দেওয়া এজাহারের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ১৯৯০ সাল থেকে সরকারি রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে বৈধভাবে এ জায়গায় ব্যবসা করে আসছেন উপজেলার বাহারুল আলম। তার বাবা অবসর সৈনিক বাচ্চু ১৯৮০ সাল থেকে ব্যবসা করেছে। আর যারা তাকে ও তার বাবা অবসর সৈনিক বাচ্চুকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছেন তারা সবাই ওই একই এলাকার প্রতিবেশী এবং তারা বহু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী বাহারুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই তার ব্যবসার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদা দাবি করে আসছিল আবদুল্লাহ আল রাসেল, শাকিল, মামুন, ফরিদ উদ্দিন,মহিন,বাপ্পি, তোফায়েল, লোকমান, আবদুল কাদের, রেজভিনসহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ব্যবসায়িকভাবেও নানাভাবে ক্ষতি করে আসছিল। তারই প্রেক্ষিতে দলবদ্ধ হয়ে দোকানে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে রাসেলসহ কয়েকজন লোক। 

এ সময় প্রকাশ্যে চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না ও তাকে মারধরসহ এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ব্যবসায়ী বাহারুল আলম।
কুমিল্লার লালমাই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের হাত থেকে উদ্ধারের পর এ ঘটনা নিয়ে লালমাই থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ভুক্তভোগী বাহারুল আলম বাদী হয়ে আবদুল্লাহ আল রাসেল, শাকিল, মামুনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করে লালমাই থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।

লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।