শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসের মেডিকেল টিম নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ ◈ হাসিনার পদত্যাগ: সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল রেফারেন্সে যা ছিলো ◈ সৌদি আরব বৈদ্যুতিক জেট পরিষেবা চালু করছে হজ যাত্রীদের জন্য  ◈ সমন্বয়কদের আশ্বাসে বঙ্গভবন এলাকা ছাড়ছেন আন্দোলনকারীরা, নিরাপত্তা জোরদার ◈ ‘ডেঞ্জার অ্যালার্ট’, ঘূর্ণিঝড় ডানা ধেয়ে আসছে! ◈ বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের ওপর চড়াও হল বিক্ষোভকারীরা, অস্ত্র ফেলে চলে যায় পুলিশ (ভিডিও) ◈ ভারতে একদিনে ৫৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার ◈ মালয়েশিয়ায় ন্যানো স্যাটেলাইট আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশি গবেষক তারিকুল ◈ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন ও তথ্য উপদেষ্টার বৈঠক ◈ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো যাদের জন্য 

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:৫৮ বিকাল
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুর্নীতির অভিযোগে তোপের মুখে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ

ফারুক আহাম্মদ, ব্রাহ্মণপাড়াঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বালিনা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউল্লাহ মাদানীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে ৷ মাদ্রারাসার বিভিন্ন ফান্ড ও অনুদান থেকে ২০ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের টাকায় ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য মোবাইল-ফ্যান ক্রয়, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অনুদানের টাকা ও ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাৎ করেন এই অধ্যক্ষ। 

দুর্নীতির খবরে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে দোষ স্মীকার করে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিজ পদ থেকে অব্যাহতি দেন মাওলানা অলিউল্লাহ মাদানী৷ এছাড়া মাদ্রারাসা অনুদানের টাকা আত্মসাতের দায় স্বীকার করে একটি লিখিত অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন অধ্যক্ষ। লিখিত অঙ্গীকার নামায় অধ্যক্ষ অলিউল্লাহ বলেন, ২০২৩ সালের মাদ্রাসার অনুকূলে শিক্ষা অধিদপ্তর হতে বরাদ্দকৃত পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করেছি। শিক্ষক এবং গভর্নিং বডি সদস্যদের সাথে পরামর্শ না করে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেছি। তবে শিক্ষকদের মাঝে আমি নব্বই হাজার টাকা বিতরণ করেছি। সুবিধা বঞ্চিত অত্র মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ৭৫ হাজার টাকা আমি নিজে বিভিন্ন নামে স্বাক্ষর করে আত্মসাৎ করেছি৷ 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাওলানা অলিউল্লাহ মাদানী বালিনা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার জনতা ব্যাংক একাউন্ট থেকে সাত বারে ৪ লাখ ৭৫ হাজার, সোনালী ব্যাংক থেকে দুই বারে ৫ লাখ ২০ হাজার, অগ্রণী ব্যাংক থেকে পাঁচ বারে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকাসহ মোট ১২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা চেক জালিয়াতি করে উত্তোলন করেন। এই বিষয়ে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি তফাজ্জল হোসেন বলেন, 'ব্যাংকে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি অধ্যক্ষ। আমার সিঙ্গনেচার নকল করে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি এখন প্রকাশ হওয়ায় আমি জানতে পেরেছি৷ ২০২৩ সালে সুবিধা বঞ্চিত ১৫ শিক্ষার্থীর অনুদানের ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেন অধ্যক্ষ। 

শিক্ষার্থীদের সহায়তা বিবরণীতে দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের স্বাক্ষরের মাধ্যমে অনুদানের টাকা বিতরণ করা হয়েছে৷ অনুদানের বিবরণীতে নাম থাকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মানসুরা আক্তার জুমা ও মাহিনুর আক্তার জানান, অনুদানের টাকা এসেছে সে বিষয়ে তারা কিছু জানেন না এবং টাকাও পাননি। অনুদানের বিবরণীতে তারা স্বাক্ষর করেনি। স্বাক্ষর নকল করে অধ্যক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। 


অব্যাহতির বিষয়ে এই শিক্ষক বলেন,  চাপে পড়ে অব্যাহতি ও অঙ্গিকার নামা দিয়েছি। আমি নির্দোষ৷ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল করিম বলেন, ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়