শিরোনাম
◈ বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের ওপর চড়াও হল বিক্ষোভকারীরা, অস্ত্র ফেলে চলে যায় পুলিশ (ভিডিও) ◈ ভারতে একদিনে ৫৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার ◈ মালয়েশিয়ায় ন্যানো স্যাটেলাইট আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশি গবেষক তারিকুল ◈ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইন ও তথ্য উপদেষ্টার বৈঠক ◈ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো যাদের জন্য  ◈ বঙ্গভবনের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে ২ শিক্ষার্থীসহ আহত ৩ (ভিডিও) ◈ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা ◈ তিন দিনের মাথায় ফের সোনার দামে নতুন ইতিহাস ◈ পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিল জগন্নাথ শিক্ষার্থীরা ◈ জামিন পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:৩৪ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দোকান দখল করতে না পেরে ভাঙচুর করলো এলাকার সন্ত্রাসী

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা : কুমিল্লা বিশ্বরোডে জোর করে অবৈধভাবে দোকান দখল করতে না পেরে মিসমিল্লাহ নামের একটি টাইলস দোকান ভাঙচুর করেছেন মুন্না নামের এক ব্যক্তি। এ সময় দোকানে ভাঙচুর করে ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সামছুল আলম। এছাড়া তাকে প্রাণে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পদুয়ারবাজার বিসমিল্লাহ টাইলস দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মুন্না সদর দক্ষিণ গোফিনাথপুর হাজী সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে মুন্না (২৭। তিনি এলাকায় একজন সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। স্থানীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়তই একের পর এক স্থানীয় লোকজনের কাছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টাকা দাবি করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বরোড এলাকার বিসমিল্লাহ টাইলস দোকানটি দখল করতে সদর দক্ষিণ জয়পুর এলাকার মৃত আলী মিয়া সরদারের ছেলে সামছুল আলম (৪৯) কে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসলেও বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের সময় মুন্না ও রাব্বির নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে  এ দোকানটি দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এতে দোকানের থাই গ্লাসসহ ভাঙচুরে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

ভুক্তভোগী সামছুল আলম বলেন, আমার দোকান দখল করতে বিভিন্ন সময় মুন্না হুমকি দিলেও আমি এসব বিষয় এতটা কর্নপাত করতামনা। কিন্তু আমি আজ যখন যোহরের নামাজ আদায় করতে গেছি, তখন সে দোকানে আমাকে না পেয়ে তার সাথের আরেক সন্ত্রাসী রাব্বিসহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার দোকান ভাঙচুর করে। আমি এর বিচার চাই। পুলিশ এসে দেখে গেছে ও থানায় মামলা নিয়েছে। সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবগত করেছি, তারা কাল আসবে। আমি তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে মুন্না বলেন, আমি হামলা করিনি। হাজতখোলার আমার বন্ধু রাকিব প্রথমে হামলা করে এরপর আমিও করি। এটা অন্যায় করছি এবং তা স্বীকার করছি। যা ভাঙচুর হইছে তা ঠিক করে দিব।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তি চলে যায়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়