ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দুই শিবির নেতা হত্যার অভিযোগে সাবেক ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি সহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সাবেক কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান সহ ১২ জনের নামে আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট কালীগঞ্জ আদালতে মামলা দু’টি দায়ের করেন শিবির নেতা নিহত আবুজার গিফারীর পিতা কালীগঞ্জ পৌর এলাকার চাপালী গ্রামের নুর ইসলাম এবং অপরটি নিহত শামীম মাহমুদের পিতা বাকুলিয়া গ্রামের রুহুল আমিন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ওই দুই শিবির নেতাকে সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানা ও পুলিশের অন্যান্য দপ্তরে যোগাযোগ করেও তার সন্ধান পায় না। এরপর ঘটনার ২৫ দিন পর ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ভোরে যশোরের হৈবৎপুর ইউনিয়নের লাউখালী বিরামপুকুর শ্বশ্নান ঘাটে গিফারীর লাশ মেলে। অপরজন বাকুলিয়া গ্রামের শামিম হোসেনকেও একই দিনে কালীগঞ্জ সরকারী এম ইউ কলেজের পূর্ব পাশের গেট থেকে অপহরন হয়েছিল। একই দিনে একই স্থান থেকে তার লাশও পাওয়া যায়।
নিহতদের পরিবারের অভিযোগ অপহরনের পর তারা স্থানীয় আ’লীগের সাংসদের সাথে যোগাযোগ করেও সন্তানদের সন্ধান মেলাতে পারেনি। ওই সময়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সদস্যরা তাদের সন্তানদের অপহরনপূর্বক অনেক নির্যাতন চালিয়েছিল। মামলায় আসামীদের বিচার চান ভূক্তভোগী পরিবারদ্বয়। আদালত ফৌজদারী কার্ষবিধি অনুযায়ী ১৫৬(৩) ধারায় কালীগঞ্জ থানাকে মামলা দুটি গ্রহনের জন্য নির্দ্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নিহত ওই দুই শিবির নেতার স্মরনে গত সপ্তাহে কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা শহরের গান্না সড়কে চাপালি রাস্তাটিকে মরহুম আবুজর গিফারী ও বাকুলিয়া রাস্তাটি শামীম মাহমুদের নামে নামফলক স্থাপন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :