শিরোনাম
◈ তিন দিনের মাথায় ফের সোনার দামে নতুন ইতিহাস ◈ পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিল জগন্নাথ শিক্ষার্থীরা ◈ জামিন পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ◈ বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি : প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা যেতে পারবেন, তবে থাকছে নানান বিধি নিষেধ (ভিডিও) ◈ প্রবাসী সরকার গঠন নিয়ে রাজনীতিতে নতুন আলোচনা ◈ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সমন্বয়ক হাসনাত ◈ জীবন দিতে প্রস্তুত আছি, ফ্যাসিস্টদের উত্থান সহ্য করা হবে না: বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সারজিস ◈ ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:০৪ রাত
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুরু হয়নি বাঁধের সংস্কার, গোমতীর পানি বাড়লেই প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

ফারুক আহাম্মদ, ব্রাহ্মণপাড়া ( কুমিল্লা ) প্রতিনিধিঃ গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা। এতে দুই উপজেলায় ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো ভেঙে যাওয়া বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু না হওয়ায় গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে আবারও বন্যার মুখোমুখি হতে পারে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ওই ভাঙা অংশের মেরামত কাজ শুরু করা হোক। এতে নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন দুই উপজেলার বাসিন্দারা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা দিয়ে গত ২২ আগস্ট ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গোমতী নদীর ১২০ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা। তবে বাঁধ ভাঙার ৪ সপ্তাহ পার হলেও এখনো দেখা যায়নি বাঁধ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ। 

গত সপ্তাহখানেক আগে ভাঙা বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ হলেও এখনো অরক্ষিত আছে বাঁধের ভাঙা অংশ। এতে আবারও ভারি বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে পুনরায় বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন দুই উপজেলার বাসিন্দারা। 

বুড়িচং উপজেলার মহিষমারা এলাকার বাসিন্দা আবু সালেক বলেন, বুড়বুড়িয়া দিয়ে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে৷ আমাদের ফসলি জমি, মাছের ঘের, ঘরবাড়িসহ রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু এখনো গোমতীর ওই ভাঙা বাঁধ সংস্কার শুরু হয়নি। 

বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়ায় গোমতীর বাঁধ ভাঙ্গনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া জানান, আমরা ভয়ে আছি, সম্প্রতি বন্যায় এলাকার এক ফলন নষ্ট হয়েছে। আবার যদি ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি আসে তাহলে আবারও কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। আমরা চাই অবিলম্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এই বাঁধের মেরামত কাজ শুরু হোক। 

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজুরা এলাকার বাসিন্দা বাছির আহমেদ বলেন, ভয়াবহ বন্যায় আমার ৮টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ফসলি জমি ও বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশের মেরামত কাজ শুরু হয়নি। এদিকে টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। আমরা চাই বাঁধের ওই ভাঙা অংশের মেরামত কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। 


কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান  বলেন, জেলার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতী নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের কার্যক্রমের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার স্থান পুননির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া আমরা ইতিমধ্যে শুরু করেছি। শুকনো মৌসুম ছাড়া বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয় না, তাই সংস্কার কাজ শেষ করতে কমপক্ষে চার মাস সময় লাগবে। আর তাছাড়া বর্তমানে বড় কোন দুর্যোগ বা গোমতী নদীর পানি বাড়ার পূর্বাভাস নেই। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়