চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছিল গত জুলাই মাসে। ঔই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলো আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজের্ন্সি ওপারেশন সেন্টার এন্ড কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জ্বর আমলে না নেয়াতেই মৃত্যু বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রচলিত কিটে ৪টি ধরণ শনাক্ত না হওয়ায় ডেঙ্গু পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসছে, এতে জটিলতায় পড়ছেন আক্রান্তরা।
গত আগষ্ট মাসে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ আরও বেড়েছে। এমাসে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এবং ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত জ্বরের তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে জ্বরের পর সৃষ্ট নানান সমস্যার বিষয়টি আমলে না নেয়াতে আক্রান্তরা জটিলতায় পড়েন।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে, ডেঙ্গু শক সিনড্রোম জনিত জটিল রোগীরা একেবারে শেষ সময়ে হাসপাতালে আসছেন।
তাদেরই একজন টঙ্গি থেকে আসা ১২ বছর বয়সী এই কিশোর। ডেঙ্গুজ্বরের জটিলতা নিয়ে এই কিশোরে পরিবার সচেতন না থাকায় কিশোরের প্রেসার ও পালস পাওয়া যাচ্ছিল না, এমন অবস্থান হাসপাতালে আনা হয় তাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এমন রোগীরাই ডেঙ্গুর মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. কায়ানাত ইয়াসমিন বলছেন, জ্বরে আক্রান্তদের ডেঙ্গু পরীক্ষায় অনেক সময় নেগেটিভ ফলাফল আসতে পারে। তবে এমন ক্ষেত্রে আক্রান্তদের রক্তের ‘সিবিসি’ ও ‘হেমাটোক্রিট’ পরীক্ষা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখে চিকিৎসকার প্রয়োজন হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এইচ এম নাজমুল আহসান বলেন, ডেঙ্গুজ্বরের উর্ধ্বমুখী প্রকোপের এই সময়ে জ্বর হলে অবহেলা না করে, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। উৎস: চ্যানেল আই অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :