শিরোনাম
◈ আরেক দফা বাড়ছে নীতি সুদহার, বাড়বে সব ধরনের সুদ ◈ লন্ডনে আলিশান বাড়িতেই আছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান (ভিডিও) ◈ গাজাফেরত অনেক ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করছেন, ভুগছেন অবসাদে: সিএনএন-এর প্রতিবেদন ◈ বদলে গেল ট্রাস্ট ব্যাংকের নাম ◈ ২৫২ জন এসআইকে অব্যাহতি, ২০ বছর পর হলেও চাকরি ফেরত পাবেন তারা : আশরাফুল খোকন ◈ হাফ ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, ৩০ বাস আটকালো ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রসঙ্গ নতুন করে তোলা সন্দেহজনক : নজরুল ইসলাম খান ◈ যে কারণে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি দেয়া হল, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ রাষ্ট্রপতির পদত‍্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা (ভিডিও) ◈ সাগরে নিম্নচাপ, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:০৬ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, ফের দুর্ভোগে মানুষ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে টানা ১৫দিনের বন্যার পর ভারী বর্ষণে দীর্ঘ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্ন চাপে পরিণত হওয়ায় শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণে জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে হাতিয়া ব্যাতিত আটটিতেই পানি বেড়ে গেছে। 

তবে সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলায়। এতে ফের দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার লাখ লাখ মানুষ। শনিবার সকাল থেকে জেলা শহর মাইজদী, দত্তেরহাট, মাইজদী বাজার, সোনাপুর, নোয়াখালী ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভারী বর্ষণে বেশিরভাগ শাখা সড়ক, দোকানপাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাঠঘাট ও মানুষের বাড়িঘরে পানি ওঠে গেছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় গত ১৫ দিন বন্যার পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়। এতে এখনো পানিবন্দি রয়েছে ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০০ মানুষ। ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৮ হাজার ২৭১১জন মানুষ অবস্থান করছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শুক্রবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৪৪১জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভারী বর্ষণে মানুষের বাড়িঘরে পানি ওঠে যাওয়ায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ নুতন করে আশ্রয়নে ওঠেছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীতে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্মচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এখানকার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

স্থানীয়রা বলছেন, জেলার নিন্মাঞ্চলীয় উপজেলাগুলোতে কোথাও ৩-৪ফুট, কোথাও কোথাও ৭-৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় জলাবদ্ধতার পানি নামছে খুবই ধীর গতিতে। এজন্য স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতায় এখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পানি নিষ্কাশিত হওয়ার সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সমস্যা সমাধানে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক সাহাব উদ্দিন বলেন, দুই দফায় আমন ধানের বীজ রোপন করেছি, বন্যার পানিতে তলিয়ে আমন ধানের বীজ ও ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় সবজির বীজ রোপন করেছি। কিন্তু এখন আবার ভারী বর্ষণে সব শেষ। কিভাবে এই ক্ষতি পোষাবো, বুঝতে পারছিনা। 

অপরদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শুক্রবার বিকেলে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ৫টি ট্রলারসহ এখনো ১৭জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতা আগে থেকেই ছিল। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে জেলা প্রশাসন আগের মতই মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়