শিরোনাম
◈ আরেক দফা বাড়ছে নীতি সুদহার, বাড়বে সব ধরনের সুদ ◈ লন্ডনে আলিশান বাড়িতেই আছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান (ভিডিও) ◈ গাজাফেরত অনেক ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করছেন, ভুগছেন অবসাদে: সিএনএন-এর প্রতিবেদন ◈ বদলে গেল ট্রাস্ট ব্যাংকের নাম ◈ ২৫২ জন এসআইকে অব্যাহতি, ২০ বছর পর হলেও চাকরি ফেরত পাবেন তারা : আশরাফুল খোকন ◈ হাফ ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, ৩০ বাস আটকালো ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রসঙ্গ নতুন করে তোলা সন্দেহজনক : নজরুল ইসলাম খান ◈ যে কারণে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি দেয়া হল, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ রাষ্ট্রপতির পদত‍্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা (ভিডিও) ◈ সাগরে নিম্নচাপ, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:০৪ দুপুর
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফের বন্যার কবলে নোয়াখালী, আতঙ্কে পানিবন্দি মানুষ

 বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারী বর্ষণে আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ছে নোয়াখালী জেলা। এক রাতের বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে বন্যার পানি। একই সঙ্গে আতঙ্ক বাড়ছে পানিবন্দি ও বানভাসিদের। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ। এদিকে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, নিম্নাঞ্চলগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে আছে বসতঘর ও সড়ক।

অন্যদিকে সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের বিবি রহিমা গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যার পানি আবার বাড়ছে। মানুষ জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে। গত বন্যায় আমার প্রায় ৪০ একরের ঘেরের এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া খামার ও সবজির প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব শেষ এখন আর কিছুই বলার নাই।

বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাড়িতে এসেছি আজ ৩ দিন। অনেক কিছু গুছিয়ে বসবাসের উপযোগী করেছি। গতকালের বৃষ্টিতে এখন আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছি। আল্লাহ সহায় নাহলে আমাদের আর কিছুই করার নাই।

হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ার প্রায় ১০টি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে করে এখনো ৩০ জনের অধিক জেলে নিখোজ আছে। বর্তমানে দ্বীপ হাতিয়ার সাথে আমাদের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কেউ হাতিয়ায় আসতে পারছে না আবার যেতেও পারছে না।

নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ফের নোয়াখালী জেলা বন্যার কবলে পড়ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ রাখছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। বৃষ্টি না হলে আমাদের বন্যা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি।

জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ৩৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ হাজার মানুষ।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার দিনে তেমন বৃষ্টি হয়নি। কেবল রাতে হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে।

জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। উৎস:  বাংলাদেশ জার্নাল

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়