শিরোনাম
◈ আরেক দফা বাড়ছে নীতি সুদহার, বাড়বে সব ধরনের সুদ ◈ লন্ডনে আলিশান বাড়িতেই আছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান (ভিডিও) ◈ গাজাফেরত অনেক ইসরায়েলি সেনা আত্মহত্যা করছেন, ভুগছেন অবসাদে: সিএনএন-এর প্রতিবেদন ◈ বদলে গেল ট্রাস্ট ব্যাংকের নাম ◈ ২৫২ জন এসআইকে অব্যাহতি, ২০ বছর পর হলেও চাকরি ফেরত পাবেন তারা : আশরাফুল খোকন ◈ হাফ ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, ৩০ বাস আটকালো ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রসঙ্গ নতুন করে তোলা সন্দেহজনক : নজরুল ইসলাম খান ◈ যে কারণে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি দেয়া হল, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ রাষ্ট্রপতির পদত‍্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা (ভিডিও) ◈ সাগরে নিম্নচাপ, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:২২ দুপুর
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পানিবন্দি পর্যটন শহর কক্সবাজার, আটকা পড়েছেন হাজারো পর্যটক

টানা ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে হয়েছে। সৈকত এলাকার হোটেল-রিসোর্ট, কটেজ জোনে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। এছাড়া সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল পতাকা উড়িয়ে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।

বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এতে কয়েকশো দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষেরা। সব মিলিয়ে জনজীবনে নেমেছে স্থবিরতা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে একদিনে যা সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসের তীব্রতাও বেশি থাকবে, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে বাড়তে পারে।

শহরের ব্যস্ততম পাঁচ কিলোমিটারের প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বাজারঘাটা, বড়বাজার, অ্যান্ডারসন সড়ক, টেকপাড়া, বার্মিজ মার্কেট এলাকা, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, গোলদিঘিরপাড়, তারাবনিয়াছড়া, রুমালিয়ারছড়ার কয়েকশো দোকান, অফিস-আদালত ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে।

এলাকাবাসী বলছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় দুপুর ২টা থেকে। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণে পুরো শহরের আট লাখ মানুষের কর্মজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। গত ৫০ বছরেও এমন ভারী বর্ষণ দেখেননি বলে জানিয়েছেন শহরের প্রবীণ বাসিন্দারা। ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১০টি পাহাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু অংশে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সহস্রাধিক পর্যটক জলাবদ্ধতায় হোটেল মোটেলে আটকা পড়েছেন। এরকম জলাবদ্ধতা এর আগে দেখিনি। মূলত শহরজুড়ে অপরিকল্পিত উন্নয়ন, পৌর কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও দুর্নীতি এবং পাহাড় কাটা বেড়ে যাওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, দীর্ঘ দুই মাস পর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সৈকতে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার অন্তত এক লাখ পর্যটক সমাগমের আশা ছিল। কিন্তু বৈরী পরিবেশে অধিকাংশ পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়