শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৫০ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে বন্ধ মাছ বিক্রি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে হাট বাজার নীতিমালা অনুযায়ী হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা টোল বা খাজনার আওতা থেকে মুক্ত ঘোষণা করা নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সাথে ইজারাদারদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে  মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মাছ বিক্রি করেনি মাছ ব্যবসায়ীরা।


ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) একটি আদেশ জারি করেছেন। ওই আদেশে শুধুমাত্র খোলা দোকান (সাঁটারবিহীন) সমূহ টোল বা খাজনা প্রদান করবেন। যাদের সাঁটার যুক্ত দোকান আছে ও ট্রেড লাইসেন্স আছে তাদের ইজারা দিতে হবে না।

এ আদেশ পাওয়ার পর ইজারাদারগণ খোলাবাজারে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের শতকরা সাত ভাগ টোল ধরেন। আগে ওই বাজারের পাইকারি বিক্রেতাদের শতকরা তিনভাগ করে টোল দিতে হতো।

আজ সকালে খুঁচরা মাছ বিক্রেতারা পাইাকারি মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ কিনতে গেলে ইজারাদারের লোকজন খুঁচরা মাছ বিক্রেতাদের কাছে শতকরা সাতটাকা করে দাবি করেন। এ প্রেক্ষাপটে খুঁচরো ব্যবকসায়ীরা মাছ কেনা বন্ধ করে দেয়।

খুচরো মাছ বিক্রেতা ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর মহল্লা এরলাকার বাসিন্দা উজ্জল কুমার বিশ্বাস (২৮) বলেন, একশ টাকার মাছ কিনে সাত টাকা খাজনা দিয়ে আমাদের পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এজন্য মাছ ক্রয় করিনি।

আরেক মাছ বিক্রেতা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল হালিম (৪৫) বলেন, এ বাজারে যে ভাবে টাকা তোলা হয় তা সারা দেশের কোন বাজারে ধরা হয় না। নড়াইলে এক মন মাছ কিনতে চারটাকা দেওয়া হয়। আর আমাদের এখানে একশ টাকার মাছের জন্য সাতটাকা ধরেছে।

এই বাজারে বটি দিয়ে মাছ কাটেন সুমন কুমার দাস (২৮)। তিনি জানান, আগে প্রতিদিন আমাদের খাজনা দিতে হতো একশ টাকা। এখন ধরেছে ১৭০ টাকা। আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে।

পাইকারি মাছ বিক্রেতা মেসার্স তামান্না স্টোরের মালিক এম এম মুসা (৬০) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারটি একদল ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে আছে। বেশি খাজনা নেওয়ায় আমরা ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এতে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।

হাজী শরীয়তুল্লা বাজারের ইজারাদার আশরাফুল ইসলাম জয় বলেন, ভ্যাটসহ প্রায় চার কোটি টাকা দিয়ে এ বাজারের ইজারা নেওয়া হয়েছে। সে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের যদি ইজারার নেওয়ার আগে আমাদের যদি বলা হতো  যাদের সাটার যুক্ত দোকান আছে ও ট্রেড লাইসেন্স আছে তাদের ইজারা দিতে হবে না তাহলে এত টাকা দিয়ে আমরা এ বাজারের ইজারা নিতাম না। তখন এসব আদেশ না দিয়ে মাঝপক্ষে এ জাতীয় আদেশ দেওয়ায় আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি।

ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, হাট বাজারের ইজারা দেওয়ার শর্ত অনুযায়ী এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। টোলের পরিমান নির্ধারণের জন্য একটি প্রক্রিয়া আছে। নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি টোল নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে ইজারাদার চাইলে কম টোল নিতে পারেন। ইজাদার এসব শর্ত মেনেই ইজারা নিয়েছে। তিনি বলেন,  ‘আজ বাজারে মাছ বিক্রি বন্ধ আছে এ কথা আমার জানা নেই ‘।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়