শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:০১ দুপুর
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অষ্টগ্রামের ঐতিহাসিক কুতুবশাহী মসজিদ

ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরে অবস্থিত ইসলামী স্থাপত্যকলার অপূর্ব নিদর্শন কুতুবশাহী মসজিদ। পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি বাংলার সুলতানি ও মোগল স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে নির্মিত। মসজিদটির নির্মাণ কাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ঐতিহাসিকদের কেউ এটাকে ১৬ শতাব্দীর নির্মিত বললেও অধিকাংশ ঐতিহাসিক মসজিদটি ১৭ শতাব্দীতে নির্মিত বলে মনে করেন।

তারা বলছেন, ১৭ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই মসজিদ নির্মিত বলেই এই মসজিদে সুলতানি ও মুঘল স্থাপত্যের নির্মাণশৈলী ও কারুকার্য দেখা যায়। মসজিদটির নামকরন হয়েছে ওই আমলের বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহ'র নামে। ধারণা করা হয়, অঞ্চলটিতে ওই সময়ে সুলতানি আমলের ধর্মপ্রাণ কোনো শাসকের বিচরণ ছিলো। তার পৃষ্ঠপোষকেই এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

আয়তাকার এই মসজিদটি উত্তর দক্ষিণে লম্বায় ৪৬ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২৭ ফুট ১১ ইঞ্চি। বাংলার চৌচালা ঘরের সাদৃশ্য হলেও এর কার্নিশগুলো নান্দনিক ও আরও বাঁকা। এর চার কোনে আটকোন বিশিষ্ট চারটি মিনার বা কর্নার ডায়েট রয়েছে। যেগুলো নকশা করা। মসজিদের ভেতর ও বাইরের দিকে চোখ জুড়ানো ফুল-পাতার কারুকাজ। এর পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে দুইটি করে চারটি, সর্বমোট সাতটি খিলান আকৃতির প্রবেশপথ রয়েছে। পূর্ব দেয়ালের তিনটি প্রবেশপথের ঠিক বিপরীতে পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে।

উপরের দিকে বড় সুন্দর একটি গম্বুজ রয়েছে। চার পাশে আরও চারটি ছোট গম্বুজ। গম্বুজগুলোর চূড়ায় নান্দনিক অলংকরন। মসজিদের বাইরে দক্ষিণ পাশে কবর সদৃশ্য একটি স্থাপনা রয়েছে। অনেকের ধারণা এখানে কুতুব শাহের কবর রয়েছে। তবে এটা কুতুব শাহ বা সুলতানি কোনো শাসকের কবর কিনা জানা যায়নি। শতশত বছর ধরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কারণে ১৯০৯ সালে সরকার মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে পুরাকীর্তিটি পরিচালিত হয়ে আসছে। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই এখন শত শত পর্যটক ভিড় করে থাকেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়