শিরোনাম
◈ সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী ◈ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এসি চালানো নিয়ে নতুন নির্দেশনা ◈ গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দুই অভিযোগ ওঠার পর সাময়িক অব্যাহতি দিল এনসিপি ◈ আবারও স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, দেশে ভরিতে কত বাড়লো? ◈ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় হটলাইন ◈ কোন পথে সেভেন সিস্টার্স, ভারতের এত ভয় কেন? ◈ প্যাভিলিয়ন থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরানো: 'বিশ্বের কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে যেন এমন না ঘটে ◈ সাকিব আল হাসা‌নের বিরুদ্ধে দুদকের কমিটি গঠন ◈ বাংলা‌দে‌শের ১৯১ রান শোধ ক‌রে ৮২ রা‌নের লিড নি‌লো জিম্বাবু‌য়ে ◈ আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৪ রাত
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক দুই ভূয়া সাংবাদিক, মামলা

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধার কাছে চাদঁবাজি করার সময় দুই ভূয়া সাংবাদিককে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির ঘটনায় মামলা নিয়ে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুতলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। 

আটককৃত ভূয়া সাংবাদিকরা হল, জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানি ইউনিয়নের মো. ফয়েজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে ফজলে এলাহী প্রকাশ উজ্জল ভূইয়া (৫০) ও একই উপজেলার সিংগারবিল এলাকার বীর মুত্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়ার ছেলে ইয়ানুর লিটন স্বাধীন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি লোগসহ মাইক্রোফোন ও আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। 

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বের) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মো. জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে চাদাঁবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের  করলে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার রাতে জহিরুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের বাড়িতে যায় দুই ‍ভূয়া সাংবাদিক উজ্জল ও লিটন। সেখানে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রমানাদি খুজতে থাকেন সাংবাদিকরা। বিভিন্ন কাগজপত্র তিনি দেখানোর একপর্যায়ে সাংবাদিকরা আবু জামালের কমান্ডার সনদ দেখতে চান। কিন্তু তার কাছে কমান্ডার সনদ না থাকায় দুই ভূয়া সাংবাদিক তার কাছে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সাংবাদিকরা ওই মুক্তিযোদ্ধার নামটি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দিয়ে দিবেন বলে ভয় দেখান। এসময় আবু জামাল তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সাক্ষীদের ডাক দিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোন সাংবাদিকরা না বলে জানান। পরে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে তুলে সোর্পদ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে এজাহার পেয়ে আমরা দুই জনের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগে মামলা নিয়েছি। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়