শিরোনাম
◈ সতর্ক সংকেত জারি, আজ বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই বেশি ◈ পলাতক সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা যুক্তরাজ্যে আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে  ◈ বিএনপির নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ: বাম দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা ◈ হাথুরুসিংহে ও তার দুই সহকারী ‘নাসুমকে চড় মারা’ প্রসঙ্গে যা বললেন ◈ অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সমর্থন গাজার প্রতি, ইসরায়েলি হামলাকে বললেন ‘গণকবরের মতো ধ্বংসযজ্ঞ’ ◈ গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, হাসপাতালে ভর্তি ◈ প্রাইমএশিয়া শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: ৩ জন আটক ◈ টাঙ্গাইলের ৭০০ বছরের নওয়াব শাহী জামে মসজিদে ৯৮ বছর ধরে চলছে অবিরাম কুরআন তিলাওয়াত ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে এলএনজি ও ভিসা ইস্যু ছাড়াও যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে ◈ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র খুন: ১০-১৫ জন নির্দয়ভাবে পেটায় জাহিদকে, ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১২:১২ রাত
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাড়ির ভেতরে বিপুল টাকা ছিল, ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীদের

বিএনপি নেতাদের নেতৃত্বে এস আলমের বিলাসবহুল গাড়ি সরানোর অভিযোগ (ভিডিও)

মধ্যরাতে চট্টগ্রামের দুই শীর্ষ বিএনপি নেতার উপস্থিতিতে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি। এগুলোর মধ্যে আছে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ ও অডি ব্যান্ডের গাড়িও। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা সন্দেহ করছেন, গাড়িগুলোর ভেতরে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিল। কারণ শুধু গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সেখানে সশরীর উপস্থিতি ও তদারকি করার কথা নয়।  সূত্র : চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরী সংলগ্ন কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসের ভেতর থেকে বিলাসবহুল দামি গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

গাড়িগুলো কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারেননি। তবে তারা জেনেছেন, গাড়িগুলো সীতাকুণ্ডের দিকে গেছে। কিন্তু চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় ছিল, সেটা তারা জানতে পারেননি।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, অন্তত ১৫ জনের একটি দল এস আলম গ্রুপের ওয়্যারহাউসের সামনে আসে। একই সময়ে আরও তিনটি গাড়ি সেখানে পৌঁছায়। সেখান থেকে একে একে নামেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের মেয়ের শ্বশুর মীর গ্রুপের আবদুস সালাম বিএনপি নেতা এনামুল হক এনামের মামাতো ভাই।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একটি গাড়ি থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের ড্রাইভার মনসুরকে নামতে দেখেছেন তিনি। সেই গাড়ির ভেতরে আবু সুফিয়ান বসে ছিলেন বলে তিনি ও উপস্থিত অন্যদের ধারণা। নইলে ওয়্যারহাউসে তার ড্রাইভারের আসার কথা নয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, কিছুক্ষণ পরই আমরা বুঝতে পারি শুরুর দিকে আসা ১৫ জনের পুরো দলটিই ছিল মূলত ড্রাইভার। কারণ তাদের একেকজনকে একেকটি গাড়ির চালকের আসনে বসানো হচ্ছিল। এভাবে আমরা অন্তত ১৪টি গাড়ি নিয়ে যেতে দেখেছি।

প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিলাসবহুল গাড়িগুলোর সবকটি বের হওয়ার পরই এনামসহ বাকি সব নেতা ওয়্যারহাউসের সামনে থেকে সরে যান।

ঘটনার ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘গাড়ি শুধু নয়, গাড়িগুলোর ভেতরে কিছু একটা ছিল। আমাদের ধারণা, সেখানে বিপুল অংকের টাকা ছিল। শুধু গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সেখানে সশরীরে আসার কথা নয়।’

এদিকে বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। আমি কোনো ওয়্যারহাউসেও যাইনি। তবে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনামুল হক এনামের অনুরোধে আমি তার মামাতো ভাই মীর গ্রুপের আবদুস সালামের মীর পাল্পের কারখানায় যাই। সেখানে বিএনপির পরিচয়ে কয়েকজন চাঁদা চাইতে গিয়েছিল। আমরা গিয়ে সেটা মিটমাট করে দিয়ে আসি।’

একই সময়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়