শিরোনাম
◈ সতর্ক সংকেত জারি, আজ বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই বেশি ◈ পলাতক সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা যুক্তরাজ্যে আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে  ◈ বিএনপির নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ: বাম দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা ◈ হাথুরুসিংহে ও তার দুই সহকারী ‘নাসুমকে চড় মারা’ প্রসঙ্গে যা বললেন ◈ অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সমর্থন গাজার প্রতি, ইসরায়েলি হামলাকে বললেন ‘গণকবরের মতো ধ্বংসযজ্ঞ’ ◈ গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, হাসপাতালে ভর্তি ◈ প্রাইমএশিয়া শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: ৩ জন আটক ◈ টাঙ্গাইলের ৭০০ বছরের নওয়াব শাহী জামে মসজিদে ৯৮ বছর ধরে চলছে অবিরাম কুরআন তিলাওয়াত ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে এলএনজি ও ভিসা ইস্যু ছাড়াও যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে ◈ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র খুন: ১০-১৫ জন নির্দয়ভাবে পেটায় জাহিদকে, ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:০১ বিকাল
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে মানুষ 

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে জেলার সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৬ ইঞ্চি থেকে এক ফুট পানি বেড়ে গেছে। গত ১০ দিনের বন্যায় বেশিরভাগ মানুষ বাড়িঘর না ছাড়লেও বুধবার সকাল থেকে তাীা আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। তবে এখন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যাপ্ত জায়গা খালি নেই।

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে, জেলার সোনাইমুড়ী, সেনবাগ ও চাটখিল উপজেলাসহ ৬ উপজেলায়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এখনো জেলার ৮টি উপজেলার ৮৭টি ইউনিয়নের ২১ লাখ ২৫ হাজার ৫শত মানুষ পানি বন্ধি রয়েছে। ১৩০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২লাখ ৬৪হাজার ৭৪৩জন মানুষ আশ্রিত রয়েছে। এখন নতুন করে অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র মুখি হচ্ছেন। 

তবে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রের আশ্রিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নুতন করে মানুষ উঠার জায়গা নেই। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে।     

অপরদিকে, জেলার দুর্গম অনেক এলাকায় ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে জানান বাসিন্দারা। ত্রাণ পেতে হাহাকার করছে বন্যার্তরা।

বুধবার সকালে শহরের মসজিদ মোড় এলাকায় স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান ও বৃদ্ধ মা আয়েশা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় কিংবা বাসা ভাড়া নেওয়ার খোঁজে বের হয়েছেন দিনমজুর গিয়াস উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, এতদিন বন্যা হলেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্ট করে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। কিন্তু গতকাল রাতের বৃষ্টিতে ঘরের ভিতর খাটের ওপর পানি ওঠে গেছে। এখন আর ঘরে থাকা সম্ভব নয়, তাই সবাইকে নিয়ে পাশের একটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে গিয়েছি। সেখানে জায়গা খালি নাই। তাই শহরে একটি বাসা ভাড়া কিংবা আশ্রয় খুঁজছেন তিনি। 

বুধবার সকাল থেকে জেলা শহরে গিয়াস উদ্দিনের মতো অনেককেই এভাবে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়নের খোঁজে বের হতে দেখা গেছে। 

বেগমগঞ্জের বাসিন্দা দিদার হোসেন বলেন, গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে বেশি কষ্টে আছে। কিন্ত চলাচলের পথ দুর্গম হওয়ায় আমরা ত্রাণ পাচ্ছিনা। প্রশাসনের সঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় না থাকায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে।

কবিরহাটের কালামুন্সি উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ইকবাল মাহমুদ বলেন, এই আশ্রয়েকেন্দ্রে ছোট একটি কক্ষে ৬টি পরিবার গাদাগাদি করে থাকছে। এরমধ্যে অনেকে নতুন করে আসছে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার জন্য। কিন্তু থাকার জায়গা নেই। 

কোম্পানীগঞ্জের রানা নামে এক যুবক জানান, বাবা হার্টের রোগী। বসতঘরে পানি উঠে যাওয়ায় সেখানে থাকা সম্ভব হচ্ছেনা।  বসুরহাট বাজারে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য রিকশা নিয়ে ঘুরছি। এ পনিস্থিতি বাসা ভাড়া পাওয়াও কঠিন।       
এদিকে,  এই পর্যন্ত জেলায় বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি ১২৪টি ও বেসরাকারি ১৬টি মেডিকেল টিম মাঠে চালু রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার পানিবন্দি মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ৮৮২ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার পশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন কাজ করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়