শিরোনাম
◈ ১ থেকে ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে চড়বেন না! ফের হুমকি খলিস্তানি নেতা পন্নুনের ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত বিষয়, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডাচ  সরকারের কারিগরি সহায়তার প্রতিশ্রুতি  ◈ অজ্ঞাতস্থান থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারির বিবৃতি, যা বললেন ◈ মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তনের হাওয়া: সৌদিকে পর্যবেক্ষক রেখে ইরান-রাশিয়া-ওমান যৌথ নৌ-মহড়া ◈ ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি, বাড়ল ঈদ-পূজার ছুটি ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে ফের বিতর্ক ◈ বাবাকে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করিনি: হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ◈ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে যা বলছে  ◈ রাষ্ট্রমালিকানাধীন ১০ ব্যাংকের শীর্ষ পদে নিয়োগ চূড়ান্ত, এমডি হতে পারেন যারা

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ০১:১৯ দুপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোমতী নদীতে পানি কমলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

শাহাজাদা  এমরান , কুমিল্লা ।। গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে গোমতী নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পরই ভেঙ্গে যায় গোমতী বাঁধের বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশ। এই বাঁধ ভাঙ্গার ফলে প্লাবিত হয় বুড়িচং, ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা। আংশিক প্লাবিত হয় আদর্শ সদর ও দেবিদ্বার উপজেলা। এই চার উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ বুড়িচং উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দূর্গম এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র গুলো হওয়ায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মক ভাবে। অধিকাংশের বেশি আশ্রয় কেন্দ্র গুলোর নিচতলা পানিতে ডুবে আছে। 
এদিকে, প্রশাসনের কিছুটা নির্লিপ্তার কারণে ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতা লক্ষ করা গেছে শুরুতেই। এজন্য অভিযোগ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। 

অপর দিকে,২৩ আগস্ট শনিবার থেকেই গোমতী নদীর পানি ক্রমান্বয়ে কমছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পোনে ৭টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি ছিল বিপদ সীমা থেকে ৩৬ সেন্টিমিটার উপরে। গোমতী নদীতে পানি কমলেও প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। নতুন প্লাবিত হওয়া গ্রামের  মানুষ গুলো খুঁজছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। গতকাল রোববার নতুন ভাবে যে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বুড়িচং উপজেলার বাকশিমূল ইউনিয়নের পিতাম্বর গ্রাম। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবল স্্েরাতে এই গ্রামে পানি ঢুকছে। প্লাবিত হচ্ছে বাড়ি ঘর। স্বেচ্ছাসেবকরা  নৌকার অভাবে কলাগাছের ভেলা বানিয়ে মহিলা ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিচ্ছে। 

গোমতী নদীতে আর ভাঙ্গনের আশংকা আছে কিনা জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক ওয়ালিদ উজ জামান বলেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক পানির প্রবাহ হচ্ছে ১১.৩ সেন্টিমিটার। আর সাধারণত গোমতী নদীতে পানি থাকে জ্জ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম থাকে। বর্তমানে এখন( সোমবার সন্ধ্যা পোনে ৭টা ) গোমতী নদীতে  পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। তিনি বলেন, পানি কমলেও বাঁধ কিন্তু আশংকামুক্ত না। কারণ, স্বাভাবিকের চেয়ে যে পানি গুলো উপরে আছে সেগুলো তো কোথায়ও না কোথাও দিয়ে সরতে হবে। তিনি বলেন, আর বড় ধরনের বৃষ্টি না হলে আর পাহাড়ি ঢল না আসলে পানি বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু গোমতী এখনো বিপদ মুক্ত নয়। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়