শিরোনাম
◈ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, এখানে পদত্যাগপত্রের কোন ভূমিকা নেই: হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ ◈ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা ◈ টাঙ্গাইলের ছানোয়ার বছরে কফি উৎপাদন করেন ১ টন, রয়েছে অন্যান্য সবজিও ◈ পেনাল্টি ছাড়া রোনালদো থেকে মেসির গোল বেশি ◈ ইমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গোলো বাংলাদেশ ◈ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন  ◈ পিসিবির নতুন প্রস্তাব, ভারত নিজ দেশ থেকে আসা-যাওয়া করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি  খেলতে পারবে ◈ শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন ◈ বাংলাদেশ থেকে রফতানি কমেছে, ভারত থেকে আমদানি কমেনি

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ০১:১০ রাত
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়র বন্যা গ্রেফতার

সাইফুল ইসলাম প্রবাল, ঠাকুরগাঁও ॥  ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক পৌর মেয়র  ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আঞ্জুমান আরা বন্যাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার মধ্যরাতে পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশ । গতকাল বৃহস্পতিবার বন্যাকে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার পর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নিত্যানন্দ সরকার আগামী ২৫ আগষ্ট মামলার পরবর্তী শুনানীর জন্য দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

জানা যায়, বুধবার রাতে সদর উপজেলার আরাজী পাইকপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে জাকির হোসেন বাদী হয়ে মেয়র বন্যাসহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ থেকে ২শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ৩৭ নং আসামি হলেন আন্জুমান আরা বন্যা। এ মামলায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সংরক্ষিত আসনের এমপি দ্রৌপদী দেবী আগারওয়ালা, পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, কাউন্সিলর একরামুদ্দৌলা সহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এলাকাভিত্তিক সমন্বয়ক ও মামলার বাদী জাকির হোসেনের ছেলে রাকিবুল হাসান রকিসহ আল মামুন, শাওন পারভেজ, আবু রায়হানকে মামলার আসামী কমিশনার একরামুদ্দৌলা সাহেব ৫ আগষ্ট অর্থাৎ ঘটনার দিন ডেকে পাঠান। পরে তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একটি ঘরের ভেতরে ওই ৪ জনকে ঢুকিয়ে অন্যান্য আসামীরা বাহিরে থাকাকালে সাহেব কমিশনার আগুন লাগিয়ে দেন।

পরক্ষণে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের ভেতর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উল্লেখিত ৪ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর ও পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামলার বাদী জাকির হোসেনের ছেলে রাকিবুল হাসান রকি, শাওন পারভেজ, আবু রায়হান মারা যান। রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল মামুনও মারা যায়।    

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়