রাশিদ রিয়াজঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ছুটি নিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। এছাড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এসআই ফরিদকে ছাত্রদের দাবির মুখে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি, দলীয়করণ, ঘুষ বাণিজ্য ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে ছাত্ররা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেন।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। ছাত্রদের কঠোর মনোভাবের কারণে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ৩ দিনের ছুটি নিয়ে এক রকম কর্মস্থল ছেড়ে চলে যান। ২৫ ব্যাচের এই বিসিএস কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ৩রা এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন।
এরপর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে জেলা প্রশাসক দপ্তর, চক্ষু হাসপাতাল, কালেক্টরেট স্কুলসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তার দুর্ব্যবহারে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন অতিষ্ঠ। জেলা প্রশাসকের চেয়ারে বসে তিনি দলীয় নেতার মতো আচার আচরণ করতেন বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা অভিযোগ করে। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বিক্ষোভের মুখে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন।