শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনাকে ফেরাতে এখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন আসেনি ◈ মধ্যরাতে উত্তাল ঢাকা কলেজ, বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান গ্রেফতার ◈ হরিণ শিকারের কারণেই বিষ্ণোই হয়ে উঠেছেন সালমান খানের প্রধান শত্রু ◈ বিএনপির নীতিনির্ধারকরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত (ভিডিও) ◈ বেনাপোলে জোড়া খুনে ৪ ভাইসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন ◈ শেখ হাসিনা আর রাজনীতি করার জন্য দেশে ফিরতে পারবে না: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ ‘ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয় নাই, ভোটের কোনো নিশানা কিন্তু দেখি না’ (ভিডিও) ◈ ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ সম্ভাব্য যেসব উপকূলে আঘাত হানতে পারে ◈ বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৩১ রাত
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা আন্দোলনকারীদের গণমিছিল

খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল, হবিগঞ্জে শ্রমিক নিহত

সুজন কৈরী: [২] মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে শুক্রবার সারাদেশে জুমার নামাজের পর ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন পেশাজীবীরা। বেশ কিছু স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। 

[৩.১] খুলনা প্রতিনিধি জাফর ইকবাল অপু জানান, শুক্রবার  বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। 

[৩.২] রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক  বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নিহত হয়েছেন। 

[৪.১] হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলা সদরে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে নিহত হয়েছেন মোস্তাক মিয়া (২৪)। 

[৪.২] মোস্তাকের সহকর্মী মারুফ হোসেন জানান, মোস্তাক জুতা কিনতে এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।

[৪.৩] হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

[৪.৪] হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জানান, মোস্তাকের হাতে বড় ধরনের আঘাত ছিল। সেটা গুলি কি না, পরে জানানো যাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

[৫] এর আগে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের বোর্ড মসজিদের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতা-কর্মীরা। এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ সেখানে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। 

[৬] রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জুমার নামাজের পর গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে চিকিৎসক, স্থপতি এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিরা এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। কোটা আন্দোলন ঘিরে গণহত্যা, গুম, খুন ও হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা ছাত্র ঐক্য ‘ছাত্র বিক্ষোভ’ করে। 

[৭] বিকেলে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

[৮] জুমার নামাজের পর সায়েন্সল্যাব এলাকায় গণমিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউল্যাবসহ আশপাশের এবং দূরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তারা সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। কয়েক ঘণ্টা অবরোধের পর তারা বিকেল ৪টার পর মিছিল নিয়ে শাহবাগে যান। বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহবাড় মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

[৯] একই সময় ঢাকার ইসিবি চত্বরে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ’ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের এসব অবস্থান থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর বিচার দাবি ও আটক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। 

[১০] বেলা সাড়ে ১১টার পরে আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল নিয়ে তারা রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। 

[১১] সকালে বৃষ্টির মধ্যেও শত শত শিল্পী ও সাধারণ মানুষ ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে শামিল হন। তারা নিহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার এবং হত্যার দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবি করেন।

[১২] রাজধানীর বাংলামোটরে পরিকল্পনাবিদরা মানববন্ধন করেছেন। তারা বলেছেন, সমাজে প্রতি পায়ে পায়ে ভয়। কিন্তু এই শিক্ষার্থীরা কোনো ভয় পান না। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য পথে নেমেছেন। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন হয়রানি ও গুলির শিকার না হন। যেসব জায়গায় এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

[১৩] সকালে বাংলামোটরে গণহত্যা ও দেশব্যাপী নিপীড়নের প্রতিবাদে কবি-লেখক সমাজের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের হত্যার বিচার চান।

[১৪] মানববন্ধনে কবি ও চিকিৎসক মৌলি আখন্দ বলেন, এটা একটা স্বাধীন দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা রাস্তায় বের হতে পারছি না। বাসার ছাদে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে উঠতে পারছি না। প্রতিমুহূর্তে প্রাণহানির আশঙ্কায় আছি। 

[১৫] এসময় উপস্থিত ছিলেন কবি পথিক রানা, কবি ও সাংবাদিক আদিত্য নজরুল, আব্দুর রহমান, কবি আবিদ আজম, কবি টোকন ঠাকুর, কাজল শাহ নেওয়াজ, আমির খসরু স্বপন, ইমরান মাহফুজ, সাদাত হোসেন, কিংকর হাসান প্রমুখ।

[১৬] সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় অন্য কয়েকটি সংগঠন। 

[১৭] উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, আমরা আজ বিচিত্র এক সময়ে দাঁড়িয়ে। যখন আমরা হারিয়েছি আমাদের সন্তানদের, বন্ধুদের। কোটা আন্দোলনের মতো একটি আন্দোলন সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যর্থতার দায়ে বীভৎস অবস্থায় চলে গেছে উল্লেখ করে বদিউর রহমান বলেন, যা কিছু ঘটেছে, এর দায় কেউ এড়াতে পারে না। এর দায় সরকারের ওপর বর্তায়।

[১৮] বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদ এবং তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ করেছেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন তারা।

[১৯] চিকিৎসকরা বলেন, এই দেশটাতে স্বাধীন মনে হচ্ছে না। যেখানে লাশ পড়ে থাকে রাস্তায়, নির্বিচারে গুলি করা হচ্ছে। এতে আমার ভাই মারা যাচ্ছে, আমার বোন মারা যাচ্ছে, ছেলে-মেয়েরা মারা যাচ্ছে। আমরা চাই একটা সুন্দর স্বাধীন দেশ।

[২০] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে।

[২১] মিরপুর-১০ নম্বরে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ৪টার দিকে জড়ো হন। তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিছিল নিয়ে মিরপুর ২ হয়ে অরিজিনাল ১০ ঘুরে আবার মিরপুর ১০ গোল চত্বরে গিয়ে থামেন। এসময় তারা স্লোগান দেন ও বিক্ষোভ করেন। মিরপুর ১০-এ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীরা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তাদের বিক্ষোভ শেষে চলে যান।

[২২] শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব মোড়ে পুলিশের একটি এপিসির (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) সামনের কাঁচে লাল রং স্প্রে করে দেন। কারণ হিসেবে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, ওরা আমাদের রক্ত নিয়েছে। আমরা তো শুরু লাল রং দিয়েছি।

[২৩] দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

[২৪] চট্টগ্রাম প্রতিনিধি এম আর আমিন জানান, মহানগরীতে অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা নগরের ওয়াসা মোড়ে একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও সাঁজোয়া যানে ঢিল ছুড়েন। 

[২৫] সিলেট প্রতিনিধি আশরাফ চৌধুরী রাজু জানান, সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ বাধা ডিঙিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে।

[২৬] শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারী আহত  হয়েছেন।

[২৭] সিলেট মহানগর পুলিশের ডিসি আজবাহার আলী শেখ বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাদের চলে যেতে বলে। তবে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

[২৮] লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও  ইটপাটকেল নিক্ষেপ ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। 

[২৯] নরসিংদী প্রতিনিধি সানজিদা রুমা জানান, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পুলিশের সামনেই লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের তাড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। জেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

[৩০] নরসিংদী সদর থানার ওসি  তানভীর আহমেদ বলেন, আন্দোলনকারীদের  সঙ্গে ছাত্রলীগের সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এটা তেমন কিছু না। লাঠিপেটার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়