শিরোনাম
◈ 'আসামী পক্ষের কিসের ব্রিফিং', ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবীর মাথায় আঘাত (ভিডিও) ◈ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ◈ বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার ওপর জোর যুক্তরাষ্ট্রের ◈ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল ◈ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারত থেকে পণ্য আমদানি কতটা কমেছে? ◈ বঙ্গভবনের আজকের পরিস্থিতি বিষয়ে যা জানা গেল ◈ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের দল ঘোষণা ◈ দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও রিয়াল মাদ্রিদ হারালো বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ◈ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায় ◈ মেসির শরীরে লাগানো ক্যামেরায় খেলা লাইভস্ট্রিম হবে!

প্রকাশিত : ০১ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৫৮ রাত
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউএনওর বিরুদ্ধে বেপরোয়া আচরণসহ হয়রানির অভিযোগ, বয়কটের সিদ্ধান্ত জনপ্রতিনিধিদের

জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: [২] লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে কারণে অকারণে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধিদের পদে পদে হয়রানি করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। এ পর্যায়ে ওই ইউএনওকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

[৩] এসব বিষয়ে গত রোববার (২৮ জুলাই) রাতে জেলা শহরের চক বাজারের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জনপ্রতিনিধিরা সভা করেছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুর আহবানে দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও ১৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান মিলিত হন। এসময় তারা ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্বিগুণ কমিশন আদায়ের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কারণে-অকারণে বেপরোয়া আচরণ করার অভিযোগ তোলেন। 

[৪] এ সভাতেই সর্বসম্মতিক্রমে সোমবার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সভায় কেউ অংশ নেননি। এ অবস্থায় সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে পূর্ব নির্ধারিত সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা হওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা।

[৫] অন্যদিকে ইউএনও আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো নিয়ম অনুযায়ী বুঝে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত কেউ-কেউ ষড়যন্ত্রও করতে পারেন। তার বিরুদ্ধে কমিশন দাবি ও খারাপ আচরণের অভিযোগ বায়বীয়।

[৬] সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপু ২৮ জুলাই রাতে ২১ জন ইউপি চেয়ারম্যানকেই দাওয়াত করেছেন। এরমধ্যে ১৭ জন উপস্থিতি ছিলেন। সেখানে ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ পাটওয়ারী ও ফরিদা ইয়াসমিন লিকাও ছিলেন। একে একে চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে শতকরা ১০-৩০ ভাগ কমিশন আদায়ের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করার অভিযোগ তোলা হয়। পদে-পদে হয়রানির কথা আসে।

[৭] সভায় উপস্থিত থাকা সদরের ৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান জানায়, সদর উপজেলায় ২১ টি ইউনিয়ন। অসুস্থতা, জরুরি কাজে এলাকায় না থাকায় ৪ জন চেয়ারম্যান সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তারা ইউএনওর বিভিন্ন অভিযোগের আলোকে গৃহিত সিদ্ধান্তে তাদের সঙ্গে একমত আছেন বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন।

[৮] দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম বলেন, অনেকদিন পর আমরা এক হয়েছি। শুধু উপজেলার পরিষদের ভিতরে মসজিদে নামাজ পড়তে টাকা লাগে না। না হয় সব অফিসেই সেবা নিতে টাকা লাগে।

[৯] উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আমাদের একটি সভা হয়। তখন ইউএনওর বিরুদ্ধে সবাই নানান অভিযোগ তোলেন। এজন্য সর্বসম্মতিক্রমে আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভায় কেউ অংশ নেয়নি।

[১০] সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ দ্দিন টিপু সাংবাদিকরে বলেন, ইউএনওর কর্মকাণ্ডে ইউপি চেয়ারম্যানরা অতিষ্ঠ। তিনি আগের চেয়ে দ্বিগুণ কমিশন নেন। যার তার সঙ্গে যেন তেন ব্যবহার করেন। আমরা উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

[১১] অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও আরিফুর রহমান বলেন, সভা করার বিষয়টি কেউ আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি। তবে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছে জানতে চেয়েছেন কেন উপজেলা চেয়ারম্যান তাদেরকে ডেকেছেন। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়