শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৮ বিকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খোকসায় অনাবৃষ্টির কারণে পাট নিয়ে বিরম্বনায় কৃষকেরা 

হুমায়ুন কবির, খোকসা (কুষ্টিয়া): [২] কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলায় চলতিছর লক্ষ্যমাত্রা থেকেও ৫৫ হেক্টর জমিতে বেশি পরিমাণ পাট আবাদ করেছে কৃষকরা । উপজেলার ২ হাজার ২৫০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ বিতরণ করায় ৪ হাজার ১'শ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকেও ৫৫ হেক্টর জমি বেশি। 

[৩] জলবায়ু পরিবর্তন ও আষাঢ় শ্রাবণ মাসে অনাবৃষ্টির কারণে  কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাট চাষীরা বিপাকে পড়েছে। খালে বিলে পানি না থাকায় কৃষকের পাট যেন গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মাঝে কৃষকরা ৪০ শতাংশ পাট মাঠ থেকে কর্তন করেছে বলে জানা গেছে।

[৪] কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার ৮ হাজার কৃষকরা জমি থেকে পাট কাটতে পারছে না। ফলে জমিতেই পাট শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরে আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় জমি থেকে পাট কেটে কৃষকরা জমিতে আবার ধান আবাদ করে। এ বছর শ্রাবনের মাঝামাঝিতে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা পাট চাষ করে বিপাকে পড়েছে। এ যেন কৃষকের উৎপাদিত পাঠ গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অধিকাংশ খাল, বিল, নদীনালা ও ডোবাতে পানি না থাকায় পাট চাষীদের পাট যেন এখন গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

[৫] এদিকে স্থানীয় কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানিয়েছেন, জুলাই মাসে ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। সাধারণত আষাঢ় শ্রাবণ মাসে বর্ষা মৌসুম হাওয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দ্বিগুণ থেকে চারগুণ বৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও সময় মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় স্থানীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

[৬] অপরদিকে কৃষক ষষ্ঠী চরণ বিশ্বাস ও শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় কারণে জমি থেকে পাট কাটতে পারছি না  । এমনকি পাট কাটলেও জাগ দেওয়ার আর কোন জায়গা না থাকায় রাস্তার ধারে বা জমির কোলে ফেলে রেখে দিয়েছে ।

[৭] খোকসার বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী অজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পাটের মূল্য অনেক বেশি। এভাবে পাটের বাজার থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন। বর্তমানে বাজারে এক মণ পাট ২ হাজার ৬'শ থেকে ৩ হাজার ২'শ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখা গেছে কাঙ্খিত বৃষ্টি ও পানি না থাকায় পাট (জাগ দেওয়া) পঁচানোর সমস্যায় পড়েছে কৃষকরা। 

[৮] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাট চাষীদের জন্য পাট কাটা ও জাগ দেওয়া পচানো নির্ধারিত সময় আষাঢ় শ্রাবণ মাস। এ সময়ের মধ্যে বৃষ্টি না হলে কৃষকদের অনেকটাই শঙ্কাই পড়তে হয়। তবে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাদের উপ কৃষি কর্মকর্তাগন কৃষকদের আধুনিক রিপন রেটিং পদ্ধতিতে পাটযাক ও পচানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
 
প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়