শিরোনাম
◈ ভারতের দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ◈ মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ◈ বিমানকর্মীর সঙ্গে যে কাণ্ড করলেন সাইফ ! ◈ পিআর নির্বাচন পদ্ধতি কী? প্রচলিত ব্যবস্থার সঙ্গে পার্থক্য কোথায় ◈ হামাস প্রধান সিনওয়ার সুড়ঙ্গ পথে কীভাবে চলাচল করতেন (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ক্রিকেট দেখা যাবে সর্বনিম্ম ১০০ টাকায় ◈ বিকালে নারী সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুখোমুখি ◈ অনেক লড়াই করে জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ ◈ ১১ মিনিটের মধ্যে মেসির হ্যাটট্রিক, ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনকে ৬-২ গোলে হারালো মিয়ামি  ◈ মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে জাবি প্রভোস্টের পদত্যাগ

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৪, ০৬:০৬ বিকাল
আপডেট : ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী: [২] নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সোনালী আক্তার নামে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম টিটু নামের এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার টিটু ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি।

[৩] গত শনিবার বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন ওই সাংবাদিক।

[৪] বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ তার। দুর্বৃত্তরা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে সোনালীর গাল আগুনে ঝলসে দেয়। সোনালী নারায়ণগঞ্জের একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী।

[৫] শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নারী সাংবাদিক সোনালী।

[৬] ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করি। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া টিটুর দুই সহযোগির নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফতুল্লা থানার বিএনপি নেতা ইকবাল ও মামুন মাহমুদ। 

[৭] মামুন মাহমুদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ইকবাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার মধ্যে না। তবে ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে কাজ করেছি।

[৮] হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আমরা মনে করি বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিককে তার দায়িত্ব পালনে এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। টিটুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

[৯] সহিংসতাকারীরা সাংবাদিকদের টার্গেট করার পেছনে কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুন বলেন, পুলিশের মতো সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেট। কারণ পুলিশ আর সাংবাদিকরা যদি না থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ক্ষমতায় আসা তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ। তারা ক্ষমতার লোভে বিভোর। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়