শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৪, ০৯:২২ রাত
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ও স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩, থমথমে সেন্টমার্টিন

জিয়াবুল হক, টেকনাফ: [২] কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজদের উদ্ধারে গিয়ে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় এখনও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। আর উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীর সংঘাতের জের ধরে সেখানকার পরিস্থিতি এখন থমথমে।

[৩] এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ঘর থেকে সাধারণ মানুষ বের হচ্ছেন না। সেন্টমার্টিনের কয়েকজন বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি এসব তথ্য জানিয়েছেন।

[৩] নিখোঁজরা হলেন- সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ সাগর, আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ ও আজম আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল।

[৪] সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার করতে গিয়ে একটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটে।

[৫] বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উম্মত আলী ও কালা মানিক নামে দুজন শাহপরীর দ্বীপের কূলে উঠে আসলেও ফাহাদ ও ইসমাইল এখনও নিখোঁজ আছেন।

[৬] এদিকে ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনবাসীর সংঘাতের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বীপের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা দ্বীপে টহল জোরদার করেছেন। তবে ভয়ে দ্বীপের সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম।

[৭] এর আগে বুধবার দুপুরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারের ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

[৮] স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে জানানো হলেও তারা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেননি। কয়েকজন দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলার নিয়ে উদ্ধারে গেলে বাধা দেয়া হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরে আসলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে তারা কোস্টগার্ডের চৌকি ভাঙচুর করে। এ সময় ফাঁকা গুলি চালায় কোস্টগার্ড। এতে গুলিবিদ্ধ হন দ্বীপের কোনাপাড়ার করিম উল্লাহর ছেলে হামিদ হোসেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে কোস্টগার্ডের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

[৯] এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার করতে গিয়ে আরেকটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে স্পিডবোটের দুজন নিখোঁজ আর ট্রলারের একজন নিখোঁজ আছে। আর কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর বিরোধ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।’ সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়