শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৪, ০৪:৩২ দুপুর
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে আখাউড়া স্থলবন্দর

এইচএম পারভেজ, আখাউড়া: [২] দেশে গত কয়েকদিন ধরে চলমান ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এর প্রভাব পরেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে। এতে করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বানিজ্য মধ্যে স্থবিরতা প্রভাব বিস্তার করছিল। তবে চলমান সংকট কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বন্দরে ফিরে এসেছে কর্ম চাঞ্চলতা। 

[৩] বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হিমায়িত মাছসহ কিছু পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় রপ্তানি করা হয়। সংকটের বাকি সময় গুলোতেও এই বন্দর দিয়ে হিমায়িত মাছ, তুলা, সিমেন্ট রপ্তানি করা হয়েছে। 

[৪] ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দেশের চলমান এই সংকটের কারনে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। যে কারনে অর্থনীতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়ীরা। 

[৫] স্বাভাবিক সময়ে এ বন্দর দিয়ে প্রায় ২ লাখ ডলার মূল্যের হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ফার্নিচারসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ ধরণের পন্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকত। তবে দেশজুড়ে কারফিউ ও চলমান অস্থিরতায় গেল ৫ দিনে নামমাত্র মাছ ও সিমেন্ট ছাড়া রপ্তানি করা যায়নি কিছুই। এছাড়া ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে অনলাইন ব্যবস্থা না থাকায় ২০ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ম্যানুয়ালি বিলের লিপিবদ্ধের মাধ্যমে মাত্র ৫৩ টন মাছ ও ৭০ টন সিমেন্ট রপ্তানি করা হয়েছে। এসব পূন্য থেকে রপ্তাসি আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। 

[৫] ব্যবসায়ীদের দাবি, এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন তেমনি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। 

[৬] আখাউড়া স্থলবন্দরে মাছ রপ্তানি সমিতির সভাপতি ইদন মিয়া জানান, বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি করা হত। কিন্তু চলমান সংকটের কারনে রপ্তানির পরিমান ১০ থেকে ১২ টনে নেমে এসেছ। যার কারনে মাছ ব্যবসায়ীদের কিছুটা ব্যবসায় মন্দ গিয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে আমাদের মাছ রপ্তানি আগের ন্যায় স্বাভাবিক হবে।  

[৭] আখাউড়া স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্টের সভাপতি হাসিব হুমায়ুন বলেন, গত কয়েকদিন দেশের চলমান আন্দোলনের কারনে আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রভাব পরেছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই বলে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা মালামাল পাঠাতে পারেনি। 

[৮] আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদ-উল হাসান জানান, চলমান সংকটেও আমাদের বন্দের কোন ধরনের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। আমদানি রপ্তানি সচল ছিল। প্রতিদিন পূন্যবাহী গাড়ি ভারতে গিয়েছে। তবে

[৯] স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমরান হোসেন জানান, ইন্টারনেট না থাকায় বন্দরের অফিসিয়াল অনলাইনে যে কাজ ছিল তা ম্যানুয়ালি আমরা সম্পূর্ন করেছি। এনবিআর থেকে নির্দেশনা ছিল পচনশীল পন্যগুলো যেন ম্যানুয়ালি কাজ করে ভারতে পাঠানো হয়।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়