শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২৪, ১১:৪৮ দুপুর
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে

প্রতিকী ছবি

নাহিদ হাসান: [২] কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। নাশকতার স্পটের আশপাশ এলাকাসহ অলিগলি, এমনকি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। যাচাই করা হচ্ছে মোবাইল ফোন। হত্যাকাণ্ড বা নাশকতায় সম্পৃক্ততার কোনো আলামত পেলেই আটক করা হচ্ছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা, ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেও চিহ্নিত করা হচ্ছে নাশকতাকারীদের। এ পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৫৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ৭৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র: ঢাকা মেইল, আরটিভি

[৩] ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, নাশকতার ঘটনায় ঢাকায় এ পর্যন্ত ৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ১১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব,  রফিকুল আলম মজনু ও সাবেক এমপি এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত। এছাড়া রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাহীন শ্রমজীবী সাধারণ মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে আরও অন্তত ১২১টি মামলায় ১ হাজার ৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

[৪] এদিকে বিএনপির দাবি, ঢালাওভাবে দলটির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, হত্যা-নাশকতায় জড়িত ছিল না, এমন কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। সন্দেহভাজন হিসেবে আটকদের যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্টতা না পেলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

[৫] ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানো বেশির ভাগই বাইরে থেকে এসেছিল। তারা কিছুদিন আগে এসে বিভিন্ন এলাকার বাসা ও মেসে ওঠে। পরে একটি মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী সুযোগ বুঝে নাশকতা চালায়।

[৬] ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রফিকুল আলম, মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আমিনুল হক ও জহির উদ্দিন স্বপন এরই মধ্যে ডিবির রিমান্ডে রয়েছেন। সোমবার আরও কয়েকজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা হলেন শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, রফিকুল আলম মজনু ও এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত।

[৭] সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা হত্যা-নাশকতায় জড়িত ছিল না, এমন কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ছিল বলেই দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তারা এরই মধ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছে।

এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়