শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪, ০৩:০৩ দুপুর
আপডেট : ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি ও অগ্নিসংযোগ

মোশতাক আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ: কোটা সংস্কারের দাবিতে ডাকা সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লে কার্ড ও পোস্টার নিয়ে আন্দোলনকারী নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ নিয়েছেন। 

এর ফলে যানবহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পুরো নারায়ণগঞ্জ। এ সময় আন্দোলনকারীরা শহরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর করে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে মুহুর্মুহ টিয়ারসেল ও গুলি ছুড়ে।

তথ্যমতে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান শহরের চাষাড়ার দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষার্থীরা সেটি ভাংচুর করে। ভাংচুর করার পর গাড়িটি চাষাড়ায় গেলে শিক্ষার্থীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এসময় গাড়িতে চালক ছাড়া কোন পুলিশ সদস্য ছিল না।

এরপর পৌনে একটার দিকে পুলিশ এ্যাকশনে গিয়ে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।  পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে মুহুর্মুহ টিয়ারসেল ও গুলি ছুড়তে থাকে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ার চারদিকে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে আহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শহরবাসীর মধ্যে।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ডাকা সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের যানবাহন আটকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নানা স্লোগান দেন তাঁরা। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা এই অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর করে তাঁদের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দাবি আদায়ের জন্য নেমেছি, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করার জন্য না। আমরা কাউকে ভয় করি না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে, আমরা এর বিচার চাই। আমরা যৌক্তিক আন্দোলন করছি। আমরা রাজাকার নই, আমরা স্টুডেন্ট।

মহাসড়কে অবস্থানরত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়