শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪, ০২:২৪ দুপুর
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যা মামলায় মামার মৃত্যুদণ্ড

এএইচ রাফি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার বাঞ্ছারামপুরে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যা মামলায় বাদল মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এই রায় প্রদান করেছেন। রায় প্রদানকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাদল মিয়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার খোদে-দাউদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।

নিহতরা ছিলেন- জেলার বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের কামাল হোসেন ছেলে মেহেদী হাসান কামরুল (১০) ও মেয়ে শিফা আক্তার (১৪)।

আদালতে নথিসূত্রে জানা যায়, বাহরাইন প্রবাসী বাদল মিয়া ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে ফিরে আসেন। গ্রামে গোষ্ঠীগত দাঙ্গার একটি মামলায় আসামি হওয়ার কারণে বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে তার বোন হাসিনা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। প্রবাসে থাকাকালে দোকান করার জন্য ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন বাদল। এর মধ্যে তিন লাখ টাকা ফেরত দেন বাদল। বাকি ১০ লাখ টাকার জন্য কামালের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। এর জেরে সপ্তাহখানেক আগে বাদলকে থাপ্পড় মারেন কামাল। এ ঘটনায় প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন বাদল।

এরই জেরে একই বছর ২৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে কামালের ছেলে কামরুল তার মামা বাদলের রুমে যায়। বাদল তখন রুমে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিশোধপরায়ন হয়ে কামরুলের হাত-পা বেঁধে গলা কেটে তাকে হত্যা করে বাদল। পরে মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। ভাগ্নি শিফা রুম ঝাড়ু দিতে গিয়ে দেখে ফেললে তাকেও মারার জন্য ধ্বস্তাধস্তি করে বাদল। একপর্যায়ে শিফাকে ধাক্কা মেরে বাথরুমে নিয়ে তাকেও গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ অন্য একটি রুমের খাটের নিচে রাখেন। এরই মাঝে ঘাতক বাদল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বাদল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে বাদলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। আমরা সাক্ষিদের যথা সময়ে আদালতে হাজির করেছি। যুক্তিতর্ক ও সাক্ষি প্রমাণ শেষে আদালত অভিযুক্ত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও দুইবছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত।

প্রতিনিধি/একে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়