শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৪, ০৯:০৫ রাত
আপডেট : ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাখাইন রাজ্যে আগুনের কুণ্ডলী-ধোঁয়া, আসছে মর্টার শেল ও গোলার ভারী শব্দ

জিয়াবুল হক, টেকনাফ: [২] মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই থামেনি। ১৩ জুলাই শনিবার ভোর সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত মর্টার শেল ও গোলার ভারী শব্দ শোনা গেছে। পাশাপাশি রাখাইনে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর সীমান্তের বসবাসরতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

[৩] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৩ জুলাই বিকেলে পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়া থেকে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যের সুদাপাড়া গ্রামে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা যায়। 

[৪] টেকনাফ পৌরসভার সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ জাফর বলেন, নাফনদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সুদাপাড়া গ্রামে বিকট শব্দ শোনা গেছে। এরপরই আগুনের কুণ্ডলী দেখা যায়। তবে সকালে সীমান্ত কিছুটা শান্ত ছিল।  

[৫] মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ায় বিপদে পড়েছেন সেখানকার রোহিঙ্গারা। এর মধ্যে নাফনদীর ওপারে মংডু শহর প্রবেশের খালের মোহনায় দিয়ে রোহিঙ্গারা টেকনাফ উপজেলার কয়েকটি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সুকৌশলে পালিয়ে আসছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।

[৬] সূত্রে জানা যায়, বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। এর জেরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফনদীর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল জোরদার করেছেন। অনুপ্রবেশের শঙ্কার মধ্যে তারা সতর্ক অবস্থায় আছেন।

[৭] এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর সীমান্তে বাসিন্দারা শনিবারও ওপারে গোলার বিকট শব্দ শুনেছেন। পাশাপাশি তারা রাখাইনে আগুনের কুণ্ডলী দেখতে পেয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন।

[৮] এবিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, শনিবার সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ কম ছিল। তবে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে আছি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়