শিরোনাম
◈ আমাদের পরামর্শ হয়তো আর দরকার নেই, এজন্য ডাকেনি : মুজিবুল হক চুন্নু ◈ পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার: বৈঠক শেষে গণফোরাম ◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৮:২১ রাত
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যারিস্টার সুমনকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল সোহাগ

কিবরিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ: [২] হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন বলেছেন, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যা নয়, প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল গ্রেপ্তার সোহাগ মিয়ার উদ্দেশ্য। তিনি পেশায় একজন প্রতারক। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। এর আগে গ্রেপ্তারও হন তিনি।

[৩] বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। গ্রেপ্তার সোহাগ মিয়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হিংগাজিয়া (মোবারকপুর) গ্রামের মন্তাজ মিয়ার ছেলে।

[৪] সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, সোহাগ মিয়া ওরফে সুমেল মিয়া চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) খুদেবার্তা পাঠিয়ে জানান, ব্যারিস্টার সুমনের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তাকে হত্যা করা হতে পারে। পরে এ বিষয়ে ২৮ জুন চুনারুঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। 
[৫] পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ পুলিশ ও ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সমন্বয়ে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। কয়েকদিন তার প্রতারণার শিকার তার এক বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি সোহাগের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন। পরে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে সোহাগ মিয়াকে সিলেট শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৬] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ মিয়া পুলিশকে জানান, মোবাইলফোন নয়, হোয়াটসঅ্যাপে তিনি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তার পেশা প্রতারণা। ৬-৭ বছর মধ্যপ্রাচ্যে থেকে দেশে আসেন কিন্তু কিছুই করতে পারেননি। এরপর বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হন। অবশেষে অভাব-অনটন দূর করতে হ্যাকার হওয়ার চেষ্টা করেন। ইন্টারনেটে ভারতীয় একটি প্রতারণার গল্প দেখে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রতারণার কৌশল শেখেন। তারই অংশ হিসেবে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন।

[৭] পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন জানান, যেহেতু তার কাছে ব্যারিস্টার সুমনের ফোন নম্বর ছিল না, এজন্য ওসিকে খুদেবার্তা পাঠান। তার উদ্দেশ্য ছিল সংসদ সদস্য হুমকির কথা শুনলেই হয়তো বলবেন, কারা হত্যা করতে চায় তাদের নাম বলো। তখন তিনি টাকা চাইবেন। কিন্তু তার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। উল্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়েছে। এ ঘটনার পর সোহাগ মিয়া পালাতে চেয়েছিলেন। বারবার স্থান বদল করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়