শিরোনাম

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৪:১৬ দুপুর
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে গার্ডারধসে ১৩ জনের প্রাণহানি: ৮ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডারধসে বার বছর আগে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ৮ আসামিকে দুটি পৃথক ধারায় সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

[৩] বুধবার (১০ জুলাই) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ  রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দণ্ডিত আট আসামি। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

[৪] দণ্ডিত আটজন হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম। তারা সবাই ঠিকাদার কোম্পানি মীর আখতার-পারিসার (জেভি) ওই সময়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

[৫] চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপম চক্রবর্তী বলেন, আসামিদের অবহেলার কারণে প্রাণহানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ (২) ধারায় ৫ বছরের সশ্রম, তিন লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাস সাজা দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া ৩৩৮ ধারায় প্রত্যেক আসামিকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় একটির পর একটি কার্যকর হবে। এ মামলায় ২৮ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আসামিপক্ষের সাতজন এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।

[৬] উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়লে তাতে চাপা পড়ে ১৩ জনের প্রাণ যায়। পরে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানার ওই সময়ের এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। 

[৭] ওই মামলায় প্রকল্পটির পরিচালক সিডিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়।

[৮] কিন্তু ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর এজাহার বর্হিভূত একজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম।

[৯] আর এজাহারভুক্ত সিডিএ এর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি কোম্পনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

[১০] বিচার শুরুর ১০ বছর পরে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় চলতি বছর জানুয়ারিতে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৫ জুন এ মামলা রায়ের পর্যায়ে আসে।

[১১] আসামিপক্ষের আইনজীবী এস ইউ এম নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা এ রায়ে সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়