স্বপ্না আক্তার, নীলফামারী: [২] এসব প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মান, পূর্ণঃনির্মান ও সংস্কারের কাজের মাধ্যমে সদর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ- মন্দির, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যপট ক্রমেই যাচ্ছে পাল্টে। সংস্কারের মাধ্যমে কাচা ভাঙ্গা রাস্তাগুলো হয়ে উঠেছে চলাচলের উপযোগী। ধীরে ধীরে কাচা রাস্তাগুলো পরিণত হচ্ছে পাকায়। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠাগুলো ধারণ করেছে এক নতুন রূপ।
[৩] সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-০২ (সদর আসন) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় সদর উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায়ের তদারকিতে বাস্তবায়ন হয়েছে এসব প্রকল্পের কাজ। কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ তা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে বলে বিতরণ করা হয়েছে প্রকল্পের বরাদ্দের চেক। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগেও প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকাশ্যে বিতরণ হয়েছে প্রকল্পের চেক। ফলে প্রকল্পের কাজগুলোতে এসেছে স্বচ্ছতা।
[৪] টুপামারী চৌধুরীপাড়া পাকা রাস্তা হতে মরহুম খোরশেদ চৌধুরীর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা আরসিসি করণ প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন,‘বর্ষাকালে এই রাস্তাটি প্রচুর কাদা হতো। যার ফলে চলাচলে একদম অনুপযোগী হয়ে উঠে। বিষয়টি আমাদের এমপি মহোদয়কে জানালে তিনি এই রাস্তা পাকা করার জন্য বরাদ্দ দেয়। আমরা সেই বরাদ্দ দিয়ে সুন্দরভাবে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করি। এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিয়মিত পরিদর্শনে তো আসতেনই।’
[৫] ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির বলেন, ‘আমি সবার সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি আমাদের ইউনিয়নে মোটামুটি সব প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়নের কিছু রাস্তা এখনো কাচা রয়েছে যেগুলো বর্ষাকালে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। তাই আমি ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে এমপি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করবো চলাচলের অনুপযোগী ওই সব রাস্তা আরসিসি করণের জন্য বরাদ্দ দিলে যাতায়াত ব্যবস্থায় ওই এলাকাগুলোতে আমূল পরিবর্তন আসবে।’
[৬] সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান বলেন, ‘আমাদের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামার নূর ভাইয়ের প্রচেষ্টায় প্রতিটি নীলফামারীর ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোয়া পেয়েছে। টি.আর কাবিখা প্রকল্পের কাজগুলো স্বচ্ছতার সাথে শতভাগ সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে জনসম্মুখে কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ তা ঘোষনা করে চেক বিতরন করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নীলফামারীর উন্নয়নগুলো আরও বেশি করে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সাধারণ-বিশেষ মিলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে কাবিটা প্রকল্পে ২ কোটি ১লাখ ৯৬হাজার ৯৮ টাকা ব্যয়ে ২৬টি প্রকল্প, টি.আর-নগদ অর্থ প্রকল্পে এক কোটি ৩৩লাখ ১৬হাজার ৬৬৬টাকা ব্যয়ে ১৭৮টি প্রকল্প ও কাবিখা প্রকল্পে প্রায় ২৮৪ মেট্রিক টন চাল ও গমের বিনিময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ৪৫টি প্রকল্পের কাজ।
[৭] উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘সকলের চেষ্টায় সুষ্ঠু সুন্দরভাবে প্রায় শতভাগ কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনতে মাননীয় সংসদ সদস্য জনসম্মুখে কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ উল্লেখ করে চেক বিতরন করেছেন। এছাড়াও নোটিশ বোর্ডে প্রকল্পের নাম ও বরাদ্দ উল্লেখ করেছি যাতে করে জনগণ তাদের এলাকার উন্নয়নে কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ জানতে পারে। সর্বোপরি সকলের প্রচেষ্টায় তদারকির মাধ্যমে কাজগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে।’
[৮] জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হক বলেন,‘আমার এই উপজেলায় বেশি দিন হচ্ছে না যোগদান করার। তবে আমি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম অনেক সুন্দর ভাবে কাজগুলো হয়েছে। আমার আগে ইউএনও মেহেদী হাসান ছিলেন তার দিক নির্দেশনায় প্রকল্পের কাজগুলো সম্পন্ন করেছেন পিআইও। এছাড়াও আমাদের সংসদ সদস্য মহোদয় সার্বক্ষনিক আমাদের মাধ্যমে খোজ-খবর নিয়ে প্রকল্পের কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে সহযোগিতা করেছেন।’ সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :