নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: [২] সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ দুপুর ১২ টার দিকে শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়।
[৩] পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বলে আটকের কথা পুলিশ জানালেও বেবি নিজেকে জামিনে রয়েছেন বলে পুলিশ কে জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে পটুয়াখালী সদর থানা ওসি মোহাম্মদ জসিম নিশ্চিত করেছেন।
[৪] পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, ১৯৮৫ সালে পটুয়াখালী বিসিক এলাকায় মেসার্স পটুয়াখালী টেক্সটাইল নামে একটি কোম্পানি খুলে পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম খান নামক এক ব্যক্তি। ওই কোম্পানির অর্ধেক শেয়ার নিজ নামে রেখে কোম্পানির পরিচালক পদ দিয়ে ২৫ ভাগ করে শেয়ার দেখানো হয় সিরাজুল এর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা বেবি এবং হামিদুল হক নামে এক ব্যক্তির নামে।
[৫] টেক্সটাইলটি কিছুদিন চালু থাকার পর ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের বকেয়া দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ সময়ের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম এবং হামিদুল হক মারা যান। এরপর ঋণের অর্থ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতে জাকিয়া সুলতানা বেবি কে আসামি করে ২০০৪ সালে একটি মামলা দায়ের করেন।
[৬] ব্যাংক ম্যানেজার আরো জানান, ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সুদে-আসলে বর্তমান লেজার স্থিতি অনুযায়ী এ পর্যন্ত সুদ মওকুফের পর জাকিয়া সুলতানা বেবির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার কাছে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা দাড়ায় প্রায় ৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর ঋণ গ্রহিতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
[৭] গত মে মাসে জাকিয়া সুলতানা বেবি ১৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুদ মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোট সভা তিন কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত না মেনে বেবি প্রতিনিয়ত খিলাপি তালিকার শীর্ষ ওঠেন। পরবর্তীতে ব্যাংকের হস্তক্ষেপে আজ তাকে গ্রেপ্তার করে।
[৮] পটুয়াখালী সদর থানার ওসি তদন্ত আসাদ জানান, বেবিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :