শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২৪, ০৭:২৮ সকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দালালের খপ্পরে নিঃস্ব মুকুলের পরিবার, ফিরে আসতেও লাগবে মুক্তিপণ

জামাল হোসেন খোকন, (জীবননগর) চুয়াডাঙ্গা: পরিবারের কিছুটা সচ্ছলতা আনার জন্য পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম উপজেলার সন্ধ্যাহ গ্রামের মুকুল হোসেনকে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি ও পার্শবর্তী উপজেলার কেশবপুর গ্রামের সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মুকুলকে কিরগিজস্থানে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ নিয়ে উজবেকিস্থানের একটি হোটেলে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের অভিযোগ।

মুকুল হোসেন বলেন, তাদের কথামত ভাগ্যের চাঁকা ঘুরানোর আশায় আমার সহায়-সম্বল বলতে মাঠের ১০ কাঠা জমি ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে তাদের হাতে তুলে দিই। তারা আমাকে কিরগিজস্থানে পাঠানোর কথা বলে। কিন্তু তারা আমার সাথে প্রতারণা করে গত জুন মাসের ৬ তারিখে বিমান যোগে উজবেকিস্থানে পাঠিয়ে দেয়। আমি সেখানে পৌছালে সে দেশে থাকা তাদের দালালরা আমাকে একটি হোটেলের ভিতরে আটকে রাখে। তারা আমাকে সেখানে কাজের ব্যবস্থা না করে একের পর নানা ভাবে অত্যচার নির্যাতন করতে থাকে। আমার কাছে আরো আড়াইলক্ষ টাকা দাবি করেন। তারা আমাকে সেখানে খাওয়ার ব্যবস্থা না করায় সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করি।

তিনি আরো বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকা আমার স্ত্রী-সন্তানেরা আদম ব্যবসায়ী হাবিবুর ও সুফিয়ানের নিকট বার বার ধর্ণা দিলে তারা আমার স্ত্রী-সন্তানদের নিকট আরো টাকা দাবি করে এবং বলে টাকা না পাঠালে তারা আমার কিডনি বিক্রি করে টাকা নিবে। সেখানে আমাকে তাদের সহযোগীরা কাজের ব্যবস্থা না করে উল্টা আমাকে একটি হোটেলে আটকিয়ে বাড়ী থেকে আরো টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর নামে থাকা শেষ সম্বল ৫ কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা পাঠালে আমি গত শনিবার রাতে দেশে ফিরে আসি। আমার এখন আর সহায়-সম্বল বলতে কিছুই নেই।

মুকুল বলেন, আমি এখন নিঃস্ব, পথের ফকির হয়ে গেছি। আমি এখন কি করব, ছেলে-মেয়েদের লেখাপাড়ায় বা কি দিয়ে চালাবো সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমি বাড়িতে এসে হাবিবুর ও সুফিয়ানদের সাথে কথা বলি। কিন্তু তারা আমাকে কোনভাবেই পাত্তা দিচেছ না। আমি এখন ভেবে পাচ্ছিনা কি করবো। কোথায় গেলে আমি আমার সুবিচার পাবো।

ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের শক্ত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ঘটনার ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তবে ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জানানো যাবে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন, ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়